শিনজিয়াং: জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের আলোচনায় না যেতে অনুরোধ চীনের

শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বেইজিংয়ের দমনপীড়ন নিয়ে আলোচনায় জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আয়োজনে হতে যাওয়া এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ না দিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2021, 05:16 AM
Updated : 8 May 2021, 05:16 AM

বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘ, এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এবং সুশীল সমাজ কিভাবে শিনজিয়াংয়ের জাতিগতভাবে তুর্কি সম্প্রদায়টির সদস্যদের মানবাধিকার নিশ্চিতের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে আমন্ত্রণপত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীনের জাতিসংঘ মিশন বুধবারের এই আলোচনায় যোগ না দিতে আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের কাছে নোট পাঠিয়েছে। রয়টার্স শুক্রবার ওই নোটটি দেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

“এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনুষ্ঠান। চীনবিরোধী এই অনুষ্ঠানে অংশ না নিতে আপনাদের মিশনকে অনুরোধ করছি আমরা,” বৃহস্পতিবারের তারিখে লেখা ওই নোটে এমনটাই লিখেছে চীনের জাতিসংঘ মিশন।

কেবল জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যই নয়, ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডাও এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

শিনজিয়াংয়ের মতো চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ, বিভাজন ও অস্থিরতা সৃষ্টি এবং চীনের অগ্রগতিকে বিঘ্নিত করতে এই দেশগুলো মানবাধিকার ইস্যুকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ বেইজিংয়ের।

“চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব উসকে দিতে মরিয়া তারা। উসকানিমূলক এই অনুষ্ঠান কেবল আরও দ্বন্দ্বের দিকেই নিয়ে যেতে পারে,” বলা হয়েছে চীনের নোটে।

এ নোটের প্রসঙ্গে জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে জাতিসংঘে চীনের মিশনের কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, শিনজিয়াংয়ের কর্তৃপক্ষ উইঘুরদের ‘বন্দিশিবিরে’ আটকে রেখে অত্যাচার চালাচ্ছে। উইঘুরদের ওপর নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। শিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোকে ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবেলার লক্ষ্যে বানানো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলেও অভিহিত করেছে তারা।