ভারত থেকে অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের ফেরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ‘ঝুঁকিতে থাকা’ নাগরিকদের ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ‘বিতর্কিত’ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2021, 08:14 AM
Updated : 7 May 2021, 08:14 AM

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সপ্তাহ পর ভারত থেকে ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনার কথা শুক্রবার জানিয়েছেন।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ২৭ এপ্রিল সে দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

বলা হয়, ভারত থেকে কেউ যদি তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাকে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। ১৫ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রবাসী, আইনজীবী এবং ভারতে থাকা অস্ট্রেলীয় নাগরিকরা ওই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। ‘ঝুঁকিতে থাকা’ নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞাকে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ ও ‘মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ হিসেবে তারা বর্ণনা করেন।

স্কট মরিসন বলছেন, “আমরা যে নির্দেশনা দিয়েছি তা অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে, আমাদের যা দরকার ছিল তা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড- ১৯ এর তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে আমরা যে কোনো কিছু করতে পারি।”

এর আগে ভারত থেকে আসা নাগরিকদের মধ্যে সংক্রমণের উচ্চহারের কথা তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তাদের কারণে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ পড়ছে।

নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা কমে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, “১৫ মের মধ্যে আমরা এমন একটা পর্যায়ে আসা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, যাতে ভারত থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্লাইটগুলো চালু করা যায়।”

তিনি জানান, করোনাভাইরাস মহামারীতে ভারতে থাকা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নাগরিকদের ১৫ থেকে ৩১ মের মধ্যে তিনটি ফ্লাইটে করে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য সরকার আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। 

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ৯০০ অস্ট্রেলীয় নাগরিককে সরকারের তালিকায় নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগে এই সংখ্যা ছিল ৬০০। ভারতে নয় হাজারেরও বেশি অস্ট্রেলীয় নাগরিক বাস করেন।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজারেরও বেশি পরীক্ষায় নতুন করে কারও সংক্রমণ ধরা পরেনি।

সীমান্তে কড়াকড়ি এবং বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের মাধ্যমে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণ ঠেকিয়ে রেখেছে আস্ট্রলিয়া। দেশটিতে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৯১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।