জাতিসংঘ বুধবার জনসংখ্যা তহবিল এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে সম্মিলিত দু’টি প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বে জরুরি খাদ্য সাহায্য দরকার এমন মানুষের সংখ্যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। অঙ্কের হিসাবে যা অন্তত ১৫ কোটি ৫০ লাখ। আর প্রয়োজনীয় ধাত্রীর অভাবে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা চোখের সামনেই পরিস্থিতি চরম খারাপের দিকে যেতে দেখছি।”
ডব্লিউএফপি’র প্রতিবেদনে ৫৫ টি দেশ এবং অঞ্চলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বুরকিনা ফাসো, দক্ষিণ সুদান এবং ইয়েমেন। এইসব দেশের অনন্ত ১৩৩,০০০ মানুষ ক্ষুধা সংকটের সবচেয়ে গুরুতর পর্যায় দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে।
আর ৩৮ টি দেশের অন্তত ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র একধাপ দূরে আছে, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট সৃষ্টির জন্য সহিংস সংঘাতকে মূল কারণ বলা হলেও খাদ্য অনিরাপত্তার আরেক বড় কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে। বলা হয়েছে, এই অর্র্থনৈতিক দুর্দশা খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দূর্যোগকেও হার মানিয়েছে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের ( ইউএনপিএফ) দ্বিতীয় প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে লাখো ধাত্রীর অভাব দেখা দিয়েছে। এতে নারী এবং নবজাতকরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। ধাত্রীসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তাদেরকে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার কাজে লাগানো হচ্ছে।
‘দ্য লানসেট মেডিকেল জার্নাল’-এ গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধাত্রী সঙ্কট দূর করা গেলে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর পাশাপাশি জন্মকালীন শিশুর মৃত্যু মোটামুটি দুই-তৃতীয়াংশ এড়ানো যাবে। এতে বছরে ৪৩ লাখ প্রাণ বাঁচবে।