যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘জোরদার হচ্ছে’ ইইউ’র

ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের একটি প্রকল্পে প্রথমবারের মতো বাইরের অংশীদারদের যুক্ত করে নিলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নরওয়ের মতো দেশগুলোর সঙ্গে ২৭ দেশের জোটের সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে মন্তব্য করেছে জার্মানি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2021, 11:54 AM
Updated : 6 May 2021, 11:54 AM

এক বছরেরও বেশি সময় পর ব্রাসেলসে ইইউ দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মুখোমুখি বৈঠকের আগে আগে বৃহস্পতিবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“এর ফলে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হবে,” বলেছেন আনেগ্রেট ক্রাম্প-ক্যারেনবার।

ইইউর এ প্রকল্পটির উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইউরোপজুড়ে সৈন্য যাতায়াত সহজ ও নির্বিঘ্ন করা; রাশিয়ার সঙ্গে বিবাদের যে কোনো ঘটনায় সেনাদের ইউরোপের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত পাঠানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে নেটো।

মার্কিন সেনা মোতায়েন ও স্থানান্তরের বিষয়ে ইইউ জোটভুক্ত দেশগুলোর আলাদা আলাদা নীতির ভেতর থাকা জটিলতা কমাতেও তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যেসব সেতু ট্যাঙ্ক চলাচলের উপযুক্ত নয় সেগুলো মেরামতে অর্থ এবং দেশগুলোর নিয়মনীতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ইইউ’র। 

“সামরিক বাহিনীর গতিশীলতা নিয়ে কথা হচ্ছে। সৈন্যরা যেন ইউরোপের ভেতর বিভিন্ন সীমান্তে দ্রুত যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা কেবল ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ নেটোর জন্যও,” বলেছেন ক্রাম্প-ক্যারেনবার।

বৃহস্পতিবার ইইউ’র প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিলে নরওয়ে, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো নেটো সদস্যরা প্রথম বাইরের দেশ হিসেবে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে করা ইইউ’র পার্মানেন্ট স্ট্রাকচারড কোঅপারেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া দখলে নিলে তিন বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইইউ নেতারা এই পার্মানেন্ট স্ট্রাকচারড কোঅপারেশন চুক্তিতে একমত হন।

ইইউ’র এ সামরিক প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সীমান্তে লাল ফিতার দৌরাত্ম কমানো; বিভিন্ন দেশের শুল্ক নীতিকে এক সুতায় গাঁথা যেন তড়িৎ গতিতে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন ও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।

ব্রাসেলসের বৈঠকে ২৭ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন জোটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধাস জোসেফ বোরেল। কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়া ওই সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সৈন্য জড়ো করেছিল।