ফেইসবুক, টুইটারে বার্তা দিতে নতুন কৌশল ট্রাম্পের

ফেইসবুক ও টুইটারে নিষিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের ওয়েবসাইটে নিজের মন্তব্য প্রকাশের জন্য এমন একটি জায়গা তৈরি করেছেন, যেখান থেকে অন্যরা তার বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2021, 05:09 AM
Updated : 5 May 2021, 05:34 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের ওপর থাকা অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হবে কিনা তা নিয়ে ফেইসবুকের ওভারসাইট কমিটির সিদ্ধান্তের আগের দিন এমন তার এই পদক্ষেপ।

গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালানোর পর অনেকগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়।

ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জেসন মিলার এক টুইটে বলেন, ট্রাম্প যে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম তৈরি করতে চান এই উদ্যোগ সেটা নয়।

“খুব শিগগির এবিষয়ে আমরা আরও তথ্য জানতে পারব।”

ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডনাল্ড জে. ট্রাম্প’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে ট্রাম্পের একগুচ্ছ পোস্ট, যেগুলো লাইক করা এবং শেয়ার করা যাবে।

অনুরাগী-অনুসারীরা এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে ট্রাম্পের পোস্ট দেখতে পারবেন। কিন্তু আপাতত অন্য কারও মন্তব্য করার সুযোগ নেই।

ট্রাম্পের সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক ব্র্যাড পারস্কেল প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন নিউক্লিয়াস প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ভোট কারচুপি এবং সেনেটর মিট রমনি ও রিপ্রেজেনটেটিভ লিজ চেজনির মতো নিজের দলের নেতাদের গালমন্দ করে ট্রাম্পের আগের ভিত্তিহীন দাবিসম্বলিত পোস্টগুলোই এই সাইটে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে।

‘নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রচারের চেষ্টা’ করা হয়েছে এমন কনটেন্ট এর আগে মুছে ফেলেছে ফেইসবুক ও টুইটার।

টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, নীতিমালা ভঙ্গ না করলে ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট শেয়ার করা অনুমোদিত। কিন্তু একটি নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টের বদলি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা হলে তার সুযোগ নেই।

এবিষয়ে কড়া নজদারি থাকবে বলে তিনি জানান।

নতুন এই সাইট থেকে পোস্ট দেওয়া হলে সেটাকে কীভাবে দেখা হবে সেবিষয়ে ফেইসবুকের মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

টুইটার স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে।তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও এটা ‘বহাল’ থাকবে। 

ফেসবুক সাময়িকভাবে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ রেখে তা আবার চালু করা হবে কি না তা মূল্যায়ন করছে।

আর ইউটিউব বলছে, সহিংসতার ঝুঁকি কমেছে বলে তারা যখন সিদ্ধান্ত নেবেন তখন আবার ট্রাম্পের চ্যানেল চালু করা হবে।