সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই আফগানিস্তানে বড় তালেবান হামলা

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই দক্ষিণের হেলমান্দ প্রদেশে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে তালেবান।

>>রয়টার্স
Published : 4 May 2021, 04:39 PM
Updated : 4 May 2021, 04:39 PM

গত ২৪ ঘণ্টা লড়াই করে সে হামলা মোকাবেলা করেছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। হেলমান্দের অধিবাসী ও কর্মকর্তারা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন।

“শহরে বজ্রপাতের মত ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। ছোট অস্ত্রগুলোর শব্দ ছিল চুলায় ভুট্টা ভাজার মত,” ঘটনার বিবরণ এভাবেই দিয়েছেন লস্কর গহ শহরতলীর এক বাসিন্দা।

তিনি বলেন, “পুরো পরিবার নিয়ে আমি কোনার ঘরে লুকিয়ে ছিলাম। বিস্ফোরণ আর গোলাগুলির শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল যেন আমাদের বাড়ির দেয়ালের পিছনে যুদ্ধ হচ্ছে।”

ঘটনাস্থলের আশেপাশে যেসব পরিবার পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা চলে গিয়েছিল আগেই।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকালে নির্ধারিত সময়সীমা ১ মে’র মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে না পারার পর থেকেই জঙ্গিরা আফগানিস্তানজুড়ে হামলা শুরু করেছে।

হেলমান্দের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান আতাউল্লাহ বলেন, সোমবার বিভিন্ন দিক থেকে তালেবান হামলা হয়েছে। তারা লস্কর গহ’র উপকণ্ঠে ‘চেকপয়েন্ট’গুলোতে হামলা করেছে এবং কয়েকটি চেকপয়েন্ট দখলও করে নিয়েছে।

আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে বিমান হামলা চালায় এবং এলিট কমান্ডো বাহিনীও মোতায়েন করে। এরপর তালেবান পিছু হটেছে। তবে লড়াই থামেনি। মঙ্গলবারও চলেছে লড়াই। এতে শতশত পরিবার হয়েছে বাস্তুচ্যুত।

এবছর ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে।

নতুন এই সময়সীমা অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার শুরুও হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দুইদিন আগেই হেলমান্দে দুটো ঘাঁটি আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে মার্কিন বাহিনী। নেটো জোটও সেনা সরাতে শুরু করেছে।

আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশের পাশাপাশি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গজনি ও কান্দাহারসহ আরও অন্তত ৬ টি প্রদেশে তালেবান হামলা মোকাবেলা করেছে।

তালেবান গোষ্ঠী বাইডেনের ঘোষিত সেনা প্রত্যাহারের ১১ সেপ্টেম্বর সময়সীমা মেনে নেয়নি। ওদিকে, বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, সেনা সরিয়ে নিলে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে।