বিদেশি পর্যটকদের জন্য দ্বার খোলার পথে ইইউ

কোভিড-১৯ নিয়ে এখনও ভারতের মতো নানা দেশে নাজেহাল অবস্থার মধ্যেই বিদেশি পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

>>রয়টার্স
Published : 3 May 2021, 04:36 PM
Updated : 3 May 2021, 04:36 PM

আগামী মাস থেকে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করার সুপারিশ করেছে ইইউ কমিশন।

বর্তমান বিধিনিষেধের আওতায় অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ মাত্র ৭ টি দেশের মানুষ ছুটি কাটাতে ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারে। তবে তারা টিকা নিয়ে থাকুক বা বা না থাকুক মেনে চলতে হয় কোভিড পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টিনের নিয়ম।

এবার ভ্রমণ কড়াকড়ি শিথিলের নতুন পরিকল্পনার আওতায়, অন্তত দুসপ্তাহ আগে ইইউ-অনুমোদিত কোভিড টিকার শেষ ডোজ নিয়েছেন এমন যে কেউ ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।

সোমবার ইউরোপীয় কমিশন ভ্রমণ কড়াকড়ি শিথিলের কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সেই প্রস্তাব এখনও ২৭ টি সদস্য দেশের অনুমোদন পাওয়া বাকি।

কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে ইইউ’র পর্যটন শিল্প মারাত্মকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। তাই বিধ্বস্ত পর্যটন ক্ষেত্র ধীরে ধীরে আবার চালুরউদ্যোগ নিতে হচ্ছে।

 ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিন এক টুইটে বলেছেন, “এখন ইইউ’র পর্যটন শিল্প এবং সীমান্ত পারের বন্ধুত্বকে নিরাপদে পুনরুজ্জীবিত করার সময়।”

ইইউ কমিশনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে সদস্য দেশগুলো মঙ্গলবারই আলোচনায় বসবে এবং এ মাসেই তা অনুমোদন পাবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

প্রস্তবগুলো কী?

ইইউ’র বাইরের দেশগুলো থেকে পর্যটকরা ইইউ সদস্যদেশগুলোতে ঢুকতে পারবেন, যদি তারা অনুমোদিত কোনও কোভিড টিকা নিয়ে থাকেন।

সেইসঙ্গে শিশুরা, যারা টিকা নেওয়ার আওতায় পড়ে না, তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ থাকলে বাবা-মা’র সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবে। যদিও বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের আবারও কোভিড পরীক্ষার দরকার পড়তে পারে।

করোনাভাইরাসের জন্য ডিজিটাল গ্রিন সার্টিফিকেট ব্যবহারেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়েছে, আক্রান্ত হওয়ার পর সম্প্রতি সুস্থ হয়েছে কিংবা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ ফল এসেছে এরকম যে কেউ পেতে পারবে এই সার্টিফিকেট।

তবে পর্যটনের জন্য সীমানা খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য 'ইমার্জেন্সি ব্রেক' নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে,  এতে করোনাভাইরাস অবস্থার অবনতি হলে দ্রুতই আবার ভ্রমণ সীমিত করে আনতে পারবে দেশগুলো।

 করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতি দুই সপ্তাহে প্রস্তাবনার নিয়মগুলো পুনঃমূল্যায়ন করা হবে।