আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর সেনা প্রত্যাহার শুরু

আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যাকে ‘চিরকালীন যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তা শেষ করার পর্ব শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2021, 05:49 PM
Updated : 1 May 2021, 05:59 PM

যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো সামরিক জোট প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি বজায় রেখেছে।

১ মে, শনিবার শুরু হওয়া সেনা প্রত্যাহার পর্ব আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শেষ করার কথা রয়েছে। আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যেই এ সেনা প্রত্যাহার শুরু হল। এ সময় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হতে পারে আশঙ্কায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো উচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। 

তালেবান সতর্ক করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সেনাদের লক্ষ্যস্থল না করার যে চুক্তি এতদিন কার্যকর ছিল তার মেয়াদ ফুরনোয় তারা এর বাধ্যবাধকতা আর মেনে চলবে না। 

গত বছর আফগানিস্তানের এ জঙ্গি গোষ্ঠীটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী ১ মে-র মধ্যে বিদেশি বাহিনীগুলো আফগানিস্তানে ছাড়বে এমন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে আন্তর্জাতিক সেনাদের ওপর হামলা না চালানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছিল তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সময়জুড়ে পশ্চিমা সামরিক ঘাঁটিগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো থেকে সুরক্ষা দিয়েছে তালেবান। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলোর ক্ষেত্রে ওই চুক্তি মেনে চললেও আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করেনি এ জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

আফগানিস্তানের এই নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেই গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সেনা চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করবে। এই তারিখটি (৯/১১) নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়া হামলার ২০তম বার্ষিকী।

চু্ক্তির এই লঙ্ঘন দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যথাযথ মনে হওয়া প্রতিটি পাল্টা ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তালেবানের মুখপাত্র। তবে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে কোনো হামলার আগে তালেবান যোদ্ধারা নেতাদের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সবকিছু গুটিয়ে ঘরে ফেরার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। কী কী তারা দেশে ফিরিয়ে নেবে আর কী বাতিল মাল হিসেবে আফগানিস্তানের বাজারে বিক্রি করে যাবে তার তালিকা করছে মার্কিন সামরিক বাহিনী, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থা।