অন্য দেশে পাঠানো এই টিকার পরিমাণ ছয় কোটি ডোজ পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হাতে আসা মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এসব ডোজ ছাড় করা শুরু করবে বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন।
সাকি জানান, ‘আসছে সপ্তাহগুলোতেই’ এক কোটি ডোজ রপ্তানির অনুমতি মিলতে পারে। বাকি প্রায় পাঁচ কোটি ডোজ এখন উৎপাদিত হচ্ছে; সেগুলো মে-জুনে পাঠানো হতে পারে।
অন্য দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও মার্কিন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো উৎপাদিত টিকার মান পর্যালোচনা করে জানিয়ে হোয়াইট হাউসের এ মুখপাত্র বলেছেন, “পাঠানোর মতো অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোনো টিকাই এখন আমাদের হাতে নেই।”
কোথায় এবং কীভাবে টিকার এসব ডোজ পাঠানো হবে, তার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নিয়েও বাইডেন প্রশাসন ভাবছে বলে জানিয়েছেন সাকি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখনও দেশটির খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মেলেনি।
মার্চে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তারা ব্রিটিশ ওষুধনির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার বানানো ৪০ লাখ ডোজ টিকা কানাডা ও মেক্সিকোতে পাঠাবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওয়াশিংটনের ওপর নিজেদের মজুদ থেকে ভারত ও অন্যান্য দেশে টিকা পাঠানোর চাপও বাড়ছিল।
করোনাভাইরাস মহামারীর সাম্প্রতিক কেন্দ্র ভারতে সংক্রমণ পরিস্থিতি দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে টিকা সরবরাহে তাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সে অনুযায়ী তারা টিকার ডোজ পাঠাচ্ছেন।
“যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া টিকা তারা অন্য দেশে পাঠাবে কিনা, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের,” বলেছেন তিনি।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের (এফডিএ) ছাড়পত্র পেলেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওয়াশিংটন বিভিন্ন দেশে টিকার ডোজগুলো পাঠাবে।
বাল্টিমোরে ইমারজেন্ট বায়োসল্যুশনের স্থাপনায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কিছু ডোজ বানানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। এফডিএ’র অনুসন্ধানে অপরিচ্ছন্নতা এবং উৎপাদনে ত্রুটি মেলার পর স্থাপনাটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার উপাদানের কারণে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার একটি ব্যাচ নষ্ট হওয়ার পর থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর ওই স্থাপনায় টিকা বানাচ্ছে না।
জনসন অ্যান্ড জনসন এখন ইমারজেন্ট প্ল্যান্টে তাদের টিকার উৎপাদন দেখভাল করছে।