ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনে ‘অক্সিজেনের মজুদ ৭২ ঘণ্টার’

ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ইউদো মারগোনো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 11:28 AM
Updated : 22 April 2021, 11:28 AM

নিখোঁজ হওয়ার আগে নাবিকরা যখন ওই সাবমেরিনটিতে আরোহণ করেছিলেন, তখনও সেটি ভালো অবস্থায় ছিল বলে বৃহস্পতিবার বলেছেন তিনি।

বুধবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে বালি দ্বীপের উত্তরে সামরিক মহড়ার সময় ৫৩ নাবিকসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এর খোঁজ না মিললেও আবহাওয়া শান্ত থাকায় সাবমেরিনটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মারগোনো বলেছেন, নিখোঁজ সাবমেরিনটিতে যে অক্সিজেন আছে তা দিয়ে নাবিকদের শনিবার পর্যন্ত চলে যাবে।

সাবমেরিনটি সমুদ্রে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়েছিল বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।

“নৌবাহিনীর কাছ থেকে যাত্রার ছাড়পত্র পেয়েছিল সাবমেরিনটি। এটি যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত ছিল,” সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন মারগোনো।

সাবমেরিন কেআরআই নাংগালা-৪০২ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বালি দ্বীপে হওয়া এ সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোও উপস্থিত ছিলেন।

এক হাজার ৩৯৫ টন ওজনের ৪৪ বছরের পুরনো এ সাবমেরিনটি ১৯৭৭ সালে জার্মানিতে বানানো হয়; চার বছর পর এটি ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

যন্ত্রাংশ পুনঃসংযোজনের জন্য সাবমেরিনটি দুই বছর দক্ষিণ কোরিয়াতেও ছিল। ২০১২ সালে ওই পুনঃসংযোজনের কাজ শেষ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাবোয়ো ‘ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোর দ্রুত আধুনিকায়ন দরকার’ বলে স্বীকার করে নিলেও নিখোঁজ সাবমেরিনে কোনো ত্রুটি ছিল কিনা সে সম্বন্ধে কোনো ইঙ্গিত দেননি।

বিমান থেকে চালানো অনুসন্ধানে সাবমেরিনটি পানিতে ডুব দেওয়ার জায়গার কাছে তেল ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনুসন্ধানে সহায়তা করতে পানির নিচে কোনো বস্তুর অবস্থা শনাক্তে সক্ষম সোনার ব্যবস্থাপনা সমৃদ্ধ নৌবাহিনীর দুটি জাহাজও মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউদো জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ ৫০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে ভাসমান ‘উচ্চ চৌম্বকীয় বলের’ একটি বস্তু শনাক্ত করেছে।

এর আগে নৌবাহিনীল মুখপাত্র জুলিয়াস উইদজোজোনো কম্পাস টিভিকে বলেছিলেন, নিখোঁজ সাবমেরিনটি পানির ২৫০ থেকে ৫০০ মিটার নিচে পর্যন্ত ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবে।

“এর চেয়ে বেশি হলে বিপদ হতে পারে,” বলেছিলেন তিনি।