বৃহস্পতিবার থেকে দুইদিনের এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। বিশ্বের বেশ কয়েকজন নেতাকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। শি জিনপিংও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার পর এটিই হতে চলেছে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠক।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘শি ভিডিও কলের মাধ্যমে সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বক্তব্য রাখবেন।
অর্থনৈতিক নানা বিষয়, দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার এবং চীনের নানা মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অনেকটাই অবনতি হয়েছে।
তবে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমত হতে পেরেছে। শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশ হওয়ার পাশাপাশি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনকারী দেশও বটে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ বিষয়ক দূত জন কেরি সাংহাই সফরে যান এবং চীনের পরিবেশ বিষয়ক দূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর এটিই ছিল দুই দেশের এত শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে উভয় দেশ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে একজোট হয়ে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা। পরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। বাইডেন দেশটিকে আবার চুক্তিতে ফিরিয়ে নিচ্ছেন।