কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি: মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে গুলি করে মারার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2021, 07:52 AM
Updated : 15 April 2021, 07:52 AM

কিমবারলি পটার (৪৮) নামের এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা তার পদ থেকে পদত্যাগ করার পরদিন বুধবার তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মাত্রার নরহত্যার অভিযোগ আনা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিনেসোটার ব্যুরো অব ক্রিমিনাল আপ্রেহেনসন (বিসিএ) জানিয়েছে, বুধবার সকালে পটারকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় মাত্রার নরহত্যার অভিযোগে তাকে হেনেপিন কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়।

কারাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, সে দিনই কয়েক ঘণ্টা পর এক লাখ ডলার জামিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, পটার দুর্ঘটনাবশত তার টেইজারের বদলে ভুল করে পিস্তল দিয়ে ২০ বছরের তরুণ ডন্টি রাইটকে গুলি করে বসেন।  

রোববার মিনিয়াপোলিসের ব্রুকলিন সেন্টারে ডন্টির গাড়ি থামিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার তাকে আটকের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পটারের গুলিতে তিনি নিহত হন। পটার তাকে টেইজার দিয়ে অচেতন করার হুমকি দিয়েছিলেন কিন্তু তার বদলে পিস্তল দিয়ে গুলি করে বসেন।

মিনিয়াপোলিসে এর আগে প্রকাশ্যে পুলিশি নির্যাতনে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় হত্যার দায়ে মিনিয়াপোলিসের আরেক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিচার চলছে। এই বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে শহরটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল, সেই সময়ই পুলিশের গুলিতে আরেক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে উত্তেজনা চরমে উঠে। 

এই নিয়ে রোববার রাত থেকে শুরু করে গত চারদিন ধরে মিনিয়াপোলিসে প্রতিবাদ চলছে। ব্রুকলিন সেন্টারে পুলিশের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার রাতেও কয়েকশত প্রতিবাদকারী কারফিউ উপেক্ষা করে ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ সদরদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

পুলিশ বিভাগে ২৬ বছর চাকরি করা পটারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তার সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তার।

পটারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় নিহত রাইটের পারিবারিক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, “হত্যাকাণ্ডটি ইচ্ছাকৃত, সুচিন্তিতভাবে শক্তির অবৈধ ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে।”

এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র মাইক এলিয়ট লোকজনকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।