মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে লন্ডন দূতাবাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না

লন্ডনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তাকে দূতাবাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2021, 04:12 AM
Updated : 8 April 2021, 04:47 AM

কেয়াও জোয়ার মিন জানিয়েছেন, কর্মীদের ভবন ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন মিয়ানমারের সামরিক অ্যাটাশে এবং তিনি আর দেশটির প্রতিনিধি নন বল তাকে জানানো হয়েছে। 

“আমাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না,” বুধবার লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে দূতাবাসটির বাইরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।

রয়টার্সকে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, জোয়ার মিনের ডেপুটি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পক্ষ হয়ে নিজেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন আর মিনকে ভবনটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে শক্তিপ্রয়োগ করে গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদকারীদের দমন করার চেষ্টা করছে তারা। 

সম্প্রতি লন্ডনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিন ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং কারাবন্দি বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেন।

পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছেন জানিয়ে মিন বলেন, “এটা এক ধরনের অভ্যুত্থান, লন্ডনের মাঝখানে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তারা আমার ভবন দখল করে আছে।”

ঘটনা সম্পর্কে জানানে এমন চার জন কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে জানান, উপরাষ্ট্রদূত চিট উয়িন শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আর তিনি ও সামরিক অ্যাটাশে রাষ্ট্রদূতকে ভবনটিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।

রয়টার্স জানিয়েছে, জোয়ার মিন দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, সেখানে পুলিশ পাহারা দিচ্ছিল। দূতাবাসের বাইরে রাস্তায় জড়ো হওয়া প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যেও বক্তব্য রাখেন তিনি।

এক বিবৃতিতে লন্ডন পুলিশ বলেছে, “লন্ডনের মেফেয়ারে মিয়ানমার দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভের বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত আছেন। সেখান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”

গত মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেয়াও জোয়ার মিন সু চি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার এই ‘সাহসিকতার’ প্রশংসা করেছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।

অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এবং তাদের কিছু ব্যবসায়ীক স্বার্থের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং দেশটিতে গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করেছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের লন্ডন দূতাবাসের এ ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

দূতাবাসটির বাইরে দাঁড়িয়ে জোয়ার মিন রয়টার্সকে বলেন, “এটি আমার ভবন, আমার ভিতরে যাওয়া প্রয়োজন। সে কারণে আমি এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি।”