অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার স্পষ্ট সম্পর্ক আছে: ইএমএ কর্মকর্তা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার খুব বিরল হলেও স্পষ্ট সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেছেন ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

>>রয়টার্স
Published : 6 April 2021, 04:26 PM
Updated : 6 April 2021, 05:05 PM

তবে কী কারণে রক্ত জমাট বাঁধছে তা এখনো অজানা বলেও জানান ইএমএ-র ভ্যাকসিন ইভাল্যুয়েশন দলের প্রধান মার্কো কাভালেরি।

ইতালির একটি দৈনিককে তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে, আমরা এখন এটা বলতে পারি। টিকার সঙ্গে এর (মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার) একটি সম্পর্ক থাকার বিষয়টি এখন পরিষ্কার। তবে কেন এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এটা এখনো আমাদের অজানা।”

তবে তিনি তার মন্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণায় বলা হয়েছিল, তারা টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার উচ্চ ঝুঁকির কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি।

ইএমএ থেকেও বার বার বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার যতটুকু ঝুঁকি রয়েছে তার তুলনায় লাভ অনেক বেশি। তাই এই টিকাদান স্থগিত না করে বরং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বলা হয়েছে।

ইউরোপের অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪৪ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে ইএমএ থেকে বলা হয়েছিল, এখন পর্যন্ত তাদের হাতে যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন আছে তাতে কোনো নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ বা অতীত রোগের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার বিরল এ ঘটনা ঘটছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সরাসরি সম্পর্ক থাকার প্রমাণও নেই। তবে সেই সম্ভাবনা আছে এবং এজন্য আরো গবেষণা করা হচ্ছে।

রক্ত জমাট বাঁধার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তাদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ এবং মাঝ বয়সের নারী। কিন্তু ইএমএ এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে না।

বুধবার ইএমএ এ সংক্রান্ত আপডেট দিতে পারে।

এদিকে, ইএমএর তদন্ত চলাকালে জার্মানি, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস সহ কয়েকটি দেশ তরুণদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।