শনিবার রাত থেকে ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপ থেকে শুরু করে প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, বন্যার পানি বাঁধ উপচে দ্বীপগুলোর হাজার হাজার ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দেয়।
বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন আর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।
“চারটি উপজেলা ও সাতটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠে থাকা টিমগুলোর তথ্য যাচাইয়ের পর আমরা দেখছি যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং নয় জন আহত হয়েছেন,” এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি।
তবে পূর্ব ফ্লোরেসের উপপ্রশাসক আগুস্টিনাস পাইয়ং বোলির হিসাবে তার এলাকায় প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে; কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ সংখ্যাটি নিশ্চিত করেনি।
“এদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে লামানেলে গ্রামে। এখানে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে কারণ গ্রামটিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস, উভয় ঘটনাই ঘটেছে,” আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন বোলি।
প্রতিবেশী পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
“প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও খুঁজে দেখছি আমরা,” এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন পূর্ব তিমুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জোয়াকিম জোসে গুজমাও।
আশপাশের যে গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি আহতদের সেখানে এবং স্থানীয় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জজুড়ে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস একটি নিয়মিত ঘটনা। সাধারণত মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে বর্ষাকাল থাকে।