কাশ্মীরের অবৈধ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে ভারত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে অবৈধভাবে বসবাস করা দেড়শ’র বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ‍শুরু হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

>>রয়টার্স
Published : 7 March 2021, 05:05 PM
Updated : 7 March 2021, 05:05 PM

রোববার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে জম্মুর হিরা নগর কারাগারের অস্থায়ী ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ বাসিন্দাদের খুঁজে বের করতে কয়েকশ মানুষের বায়োমেট্রিক এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বৈধ কাগজপত্র ছাড়া জম্মুতে বসবাসকারী বিদেশিদের খুঁজে বের করতে শুরু হওয়া অভিযানের অংশ এটা।

‘‘আমরা ওই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”

২০১৯ সালের অগাস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে সেটিকে কেন্দ্রশাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চলে বিভক্ত করে।

জঙ্গি দমনের নামে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করলে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অল্প সংখ্যাক রোহিঙ্গা ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও আশ্রয় নিয়েছেন।

জম্মুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের আটক ও দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এমন একজন ২৮ বছরের সুফিরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে শান্তি ফিরে এলেই আমরা চলে যাব।”

সুফিরার চাচা এবং ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। ফলে সন্তানদের নিয়ে একলা পড়ে গেছেন এই নারী।

আরেক শরণার্থী ৪৮ বছরের সাদিক বলেন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘‘আমাদের বলা হয়েছে, আমাদের ফেরত পাঠানো হবে। তারা বাবা-মাকে ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে কে তাদের দেখভাল করবে?”

ভারত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী নীতির লঙ্ঘন করছে বলে মনে করে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক শরণার্থী নীতিতে শরণার্থীদের জোর করে এমন জায়গায় পাঠানো যাবে না যেখানে তাদের উপর প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে।

ভারত অবশ্য জাতিসংঘের এ অবস্থানের তোয়াক্কা করছে না।