বিবিসি জানায়, এর আগে জুলাই মাসের মধ্যে সব প্রাপ্ত বয়স্ক আমেরিকানের জন্য টিকার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছিল। এখন দুই মাস আগেই টিকার ব্যবস্থা করতে পারাটা দেশটির জন্য অবশ্যই বড় সাফল্য।
তবে টিকা হাতে পেলেই কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হচ্ছে না জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জনগণকে ‘সজাগ থাকার বিষয়ে’ সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ‘‘এ লড়াই শেষ হতে এখনো অনেক পথ বাকি। বিশেষ করে ভাইরাসের নতুন ধরন বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আগেভাগে টিকা হাতে পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের টিকাদান কর্মসূচি বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে জনগণকেও টিকা গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
কোভিড টিকা আসার পর কয়েকটি রাজ্য অর্থনীতির চাকা সম্পূর্ণ সচল করতে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গ্রহণ করা নানা বিধি-নিষেধ শিথিল করে দিয়েছে। যা বাইডেনের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয় তালিকাতেই অন্যান্য দেশকে বেশ পেছনে ফেলে এক নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।যদিও নতুন বছরের শুরুতে দেশটিতে রোগী শনাক্তের সংখ্যা দ্রুত কমেছে। বর্তমানে সেখানে গড়ে দৈনিক ৬৮ হাজারের মত নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। অথচ গত ৮ জানুয়ারি এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে সেখানে আবারও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সাত কোটি ৬০ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর তার প্রেসিডেন্টের মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনে ১০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ লাখ ৭৪ হাজার ডোজ টিকা দিতে হবে।