ইসরায়েলি জাহাজে বিস্ফোরণের জন্য ইরান দায়ী: নেতানিয়াহু

ওমান উপসাগরে একটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজে বিস্ফোরণের জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2021, 01:18 PM
Updated : 1 March 2021, 01:18 PM

এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইরান বলেছে, গত সপ্তাহে ওমানের রাজধানী মাসকটের উপকূলে ঘটা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত অথবা শুক্রবার ভোররাতের কোনো এক সময় ওই উপকূলে নোঙর করা গাড়িবাহী জাহাজ এমভি হিলিওস রে-র ওয়াটার লাইনের উপরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটির কাঠামোর উভয় পাশে গর্ত হয়ে গেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ ঘটাতে লিম্পেট মাইন ব্যবহার করা হয়েছে।

নেতানিয়াহু ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কান রেডিওকে বলেন, “এটি আসলে ইরানের একটি অভিযান ছিল। এটি পরিষ্কার।” 

ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে কিনা, এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহু বলেন, “আপনি আমার নীতি জানেন। ইরান ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাদের প্রতিরোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমি। পুরো অঞ্চলজুড়েই আমরা তাদের আঘাত করছি।”

এই বিস্ফোরণের পেছনে তেহরান আছে, এমন অভিযোগ ইরান দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে বলে সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।

“এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা ইরানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণ,” বলেন মুখপাত্র সায়ীদ খাতিবজাদেহ।

পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার উৎস ইসরায়েল, বলেন তিনি। 

কান রেডিও জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎকার রোববার রাতে রেকর্ড করে সোমবার প্রচার করা হয়েছে, তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার পর ইসরায়েল দামেস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে সিরিয়া।

দামেস্কে ওই হামলাগুলো তারা চালিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল, কিন্তু সিরিয়ায় ইরানি বাহিনীর অবস্থান ও তাদের অস্ত্রের চালানের ওপর তারা প্রায়ই সামরিক হামলা চালিয়ে আসছে বলে আগেই জানিয়েছিল। 

ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার দেশকে সরিয়ে নিয়ে তেহরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।

ওই সময় থেকে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে অনেকগুলো জাহাজে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে ওয়াশিংটন। এসব জাহাজের মধ্যে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারও রয়েছে। ইরান অবশ্য এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।