বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি মালিকানাধীন ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি রোববার দুবাইয়ের রশিদ বন্দরে উপস্থিত হয়েছে, এখানে একটি ড্রাই ডকে তুলে জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত অথবা শুক্রবার ভোররাতের কোনো এক সময় ওমানের রাজধানী মাসকটের উপকূলে নোঙর করা জাহাজ এমভি হিলিওস রে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। জাহাজটির ওয়াটার লাইনের উপরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জাহাজের কাঠামোর উভয় পাশে গর্ত হয়ে গেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে এ বিস্ফোরণের জন্য ইরান দায়ী। তাৎক্ষণিকভাবে ইরানি কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি ওমান উপসাগরের অবস্থান ছেড়ে পারস্য উপসাগর উপকূলের দুবাইয়ের বন্দরে চলে আসে।
ঘটনা তদন্তে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার দুবাইয়ের পথে ছিল বলে ইসরায়েলি চ্যানেল থার্টিন নিউজ জানিয়েছিল।
ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার দেশকে সরিয়ে নিয়ে তেহরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
ওই সময় থেকে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে অনেকগুলো জাহাজে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে ওয়াশিংটন। এসব জাহাজের মধ্যে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারও রয়েছে। ইরান অবশ্য এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।