ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের একটি প্রতিবেদন পড়ার পর বাইডেন সৌদি বাদশাকে ফোন করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ হতে যাওয়া ওই প্রতিবেদনে খাশুগজি হত্যায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাইডেনের আগের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার স্বার্থে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি। নতুন প্রেসিডেন্ট খাশুগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে রিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারেন বলে অনেকের অনুমান।
২০১৮ সালে সৌদি কনসুলেটে খাশুগজিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়; ক্রাউন প্রিন্স এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ পরে জানিয়েছে, খাশুগজিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যাদের পাঠানো হয়েছিল, তাদের ‘বাড়াবাড়ির’ কারণেই ভিন্নমতাবলম্বী ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত; গত বছর ওই সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ডে নামিয়ে আনা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রকাশিত হতে যাওয়া প্রতিবেদনটিতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সই খাশুগজিকে হত্যার অনুমোদন এবং ‘সম্ভবত নির্দেশও দিয়েছিলেন’ বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ ওই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি তথ্য দিয়েছে, জানিয়েছেন তারা।
বাইডেন-সালমান ফোনালাপে সুনির্দিষ্টভাবে খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গটি ছিল কিনা, হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এ কার্যালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াদ বেশ কয়েকজন সৌদি-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্টকে মুক্তি ও লুজান আল-হাথলুলকে নিরাপত্তা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ায় বাইডেন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
তিন বছর আটক থাকার পর নারী অধিকারকর্মী লুজানকে চলতি মাসে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে; তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন না।
দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ‘দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব’ এবং সৌদি আরবের জন্য হুমকি হয়ে থাকা ইরানপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।
“প্রেসিডেন্ট বাদশা সালমানকে বলেছেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় এবং যতটা সম্ভব স্বচ্ছ করা যায় তার জন্য কাজ করবেন,” বিবৃতিতে বলেছে হোয়াইট হাউস।