এতে ইরানপন্থি অন্তত ১৭ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের হামলায় ইরানসমর্থিত একাধিক গোষ্ঠীর অনেক স্থাপনাও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র সেনাদের ওপর সাম্প্রতিক বেশকিছু হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিরিয়ায় এ বিমান হামলা অনুমোদন দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলায় এক বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হন। ইরবিলের মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যবহৃত একটি ঘাঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সেসব রকেটের আঘাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর এক সদস্য এবং আরও ৫ ঠিকাদার আহত হয়েছে।
রকেট বাগদাদের গ্রিন জোনসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতেও আঘাত হানে; ওই গ্রিন জোনেই মার্কিন দূতাবাস ও অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের অবস্থান।
পেন্টাগন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে যে ইরানসমর্থিত বাহিনীগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে কাতিব হিজবুল্লাহ ও কাতিব সাইদ আল-সুহাদাও আছে।
“এই অভিযান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও জোটের সেনাদের রক্ষায় পদক্ষেপ নেবেন। একই সঙ্গে আমরা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ও ইরাকের সামগ্রিক পরিস্থিতির উত্তেজনা প্রশমনে পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করবো,” বিবৃতিতে বলেছে পেন্টাগন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ১৭ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
“হামলায় গোলাবারুদ ভর্তি ৩টি লরি ধ্বংস হয়েছে। হতাহত হয়েছে অনেক,” বলেছেন যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী এ সংস্থার রামি আবদুল রাহমান।