উইঘুরদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে চীন: কানাডার পার্লামেন্ট

চীন সরকার দেশটির সংখ্যালঘু উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রতি যে আচরণ করছে তা গণহত্যা বলে মনে করে কানাডার পার্লামেন্ট।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 05:00 PM
Updated : 23 Feb 2021, 05:00 PM

বিবিসি জানায়, সোমবার কানাডার হাউজ অব কমন্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। হাউস অব কমন্সে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৬৬টি, বিপরীতে ভোট শূন্য।

তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও দেশটির মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য ভোটের দিন উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এদিন কানাডার আইনপ্রণেতারা ২০২২ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন ‍অলিম্পিকের ভেন্যু পরিবর্তন বিষয়ে একটি সংশোধনী প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া নিয়েও ভোট দেন।

ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘যদি চীন সরকার উঘুরদের উপর গণহত্যা অব্যাহত রাখে’ তবে কানাডা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে ২০২২ সালের অলিম্পিকের ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাব করবে।

চীন কানাডার পার্লামেন্টের এ প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে তা বাতিল করেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কানাডার পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রতি চীন সরকারের আচরণকে এখনই গণহত্যা বলতে চাইছেন না। তিনি বলেন, গণহত্যা শব্দটি ‘অত্যন্ত গুরুতর’। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আরো তদন্ত প্রয়োজন।

বিবিসি জানায়, সোমবার ভোটের দিন ট্রুডোর মন্ত্রিসভার মাত্র একজন সদস্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন। তিনি হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গারনেউ। তবে তিনি ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। বলেন, তিনি ‘কানাডা সরকারের পক্ষে’ ভোট প্রদাণ থেকে বিরত থেকেছেন।

ভোটের আগে বিরোধীদলের নেতা এরিন ও’টুল বলেন, ‘‘আমরা সব সময় মানুষের সম্মান পাওয়ার অধিকার এবং মানবাধিকারের পক্ষে আছি। এমনকি এজন্য যদি কিছু অর্থনৈতিক সুযোগের বলি দিতে হয়, তারপরও। খুবই পরিষ্কার এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এই বার্তা দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”

কানাডার এ উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ‘প্রশিক্ষণ শিবিরের’ নামে গত কয়েক বছরে চীন ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে বন্দি করে রেখেছে।