১৯৭৩ সালে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের অর্থনীতিকে স্থবির করে দেওয়ার কারণে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন।
তিনি ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন বলে মঙ্গলবার সৌদি সংবাদপত্র ওকাজ জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেকের এক বৈঠক থেকে ইয়ামানিও অন্যান্য দেশের তেলমন্ত্রীদের সঙ্গে কার্লোস দ্য জ্যাকেল নামে পরিচিত ভেনেজুয়েলান সন্ত্রাসবাদী ইলিচ রামিরেজ সানচেজের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন।
মার্জিত আচরণ ও দাড়ির কারণে সুপরিচিত ইয়ামানি ২৪ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদক সৌদি আরবের তেল সংক্রান্ত বিষয় সামলেছেন; ১৯৭০-র দশকের ওই ‘তেল ধাক্কা’ তাকে দুনিয়াজুড়ে সেলিব্রেটিতে পরিণত করেছিল।
অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ানোর এক ব্যর্থ চেষ্টার পর ১৯৮৬ সালে তাকে মন্ত্রীর পদ থেকে আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ব্যর্থ ওই কৌশল সৌদি আরবের তেল নীতিতেও ছায়া ফেলেছিল।
ইয়ামানিকে মক্কায় দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে ওকাজ।