সোমবার জেনিভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার ভোগ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চীনের ওই পশ্চিমাঞ্চলে ২৪ হাজার মসজিদ আছে বলেও জানান তিনি।
ওয়াং বলেন, “এইসব প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরছে যে সেখানে, শিনজিয়াংয়ে কখনোই তথাকথিত গণহত্যা, বাধ্যতামূলক শ্রম অথবা ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি।
“শিনজিয়াংয়ের দরজা সবসময় খোলা আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজন যারা শিনজিয়াং পরিদর্শন করেছেন প্রকৃত ঘটনা এবং সত্য জেনেছেন। হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসকে (জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল বাচেলেত) শিনজিয়াং পরিদর্শনে স্বাগত জানাচ্ছে চীন।”
শিনজিয়াংয়ের মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তাদের বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে এবং তাদের ধর্মীয়ভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের এ ধরনের অভিযোগগুলোকে ‘হীন আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
চীন সরকার শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক-মাত্রায় নিপীড়ন চালিয়ে ‘গণহত্যা’ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।