সোমবার হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে ইতালি ও জাতিসংঘ জানিয়েছে।
কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে (স্থানীয় সময়) কানিয়ামাহোরো শহরের কাছে অপহরণের উদ্দেশ্যে বহরটিতে হামলা চালানো হয়।
এলাকাটি আঞ্চলিক রাজধানী গোমা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে।
ইতালি সরকার এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত লুকা আত্তানাসিও (৪৩), ইতালীয় পুলিশ সদস্য ভিত্তোরিও ইয়াকোভাচি (৩০) এবং কঙ্গোলিজ গাড়িচালকের (যার নাম প্রকাশ করা হয়নি) মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে।
ওই গাড়িচালক জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর (ডব্লিউএফপি) হয়ে কাজ করতেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। হামলায় গাড়িবহরটির আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
কঙ্গোর রুয়ান্ডা ও উগান্ডা সীমান্ত বরাবর অবস্থিত ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের আশপাশে বহু সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। এদের কোনো একটি হামলাটি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা উদ্যান রক্ষীদের ওপর প্রায়ই হামলা চালায়। গত মাসে এক চোরাগোপ্তা হামলায় ছয় জন রক্ষী নিহত হয়।
উত্তর কিভু প্রদেশের গভর্নর কার্লি এনজানজু কাসিভিতা রয়টার্সকে জানান, হামলাকারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে গাড়িবহরটিকে থামায়, তারা গাড়িচালককে হত্যা করে ও অন্যদের বনের ভেতরে নিয়ে যেতে থাকে, এ সময় উদ্যান রক্ষীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় গোলাগুলিতে রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু হয় এবং হামলাকারীরা তার দেহরক্ষীকে হত্যা করে।
ভিরুঙ্গার মুখপাত্র অলিভার মুকিস্যা জানান, কারা হামলাটি চালিয়েছে তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।
কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারি এনথুম্বে এনজেজা বলেছেন, “এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা আছে তা বের করতে আমাদের দেশের সরকার সবকিছু করবে বলে আমি ইতালির সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, রুতশুরু এলাকার একটি স্কুলের শিশুদের খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিনিধিরা। নিরাপত্তা ছাড়াই যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি পরিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা।