বৃহস্পতিবার দেশটির ওষুধ প্রশাসন বিভাগ এ অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর এবার নেপাল দ্বিতীয় আর একটি টিকার অনুমোদন দিল।
দেশটির ওষুধ প্রশাসন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সন্তোষ কে. সি. বলেন, “নেপালে জরুরি ব্যবহারের জন্য শর্তসাপেক্ষে চীনের এই টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে চীনের পক্ষে হিমালয় পর্বতের প্রতিবেশী দেশটিকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্ম টিকা দান করার পথ প্রশস্ত হল।
এর আগে গতমাসে আরেক বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত বিনামূল্যে নেপালকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১০ লাখ ডোজ সরবরাহ করেছে।
নেপাল ভারতের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেও নিচ্ছে।
২৭ জানুয়ারি চিকিৎসা কর্মীদের প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে নেপাল তাদের টিকা কর্মসূচী শুরু করেছে। দেশের তিন কোটি জনসংখ্যার ৭২ শতাংশকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা।
নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রী হৃদয়েশ ত্রিপাঠি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শিগগিরই ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউটের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা কিনবে নেপাল। বাংলাদেশ যে দরে কিনেছে সেই একই মূল্যে, প্রতিটি চার ডলার, টিকাগুলো পাবে তারা।
ত্রিপাঠি বলেন, “আমরা একটা ভালো দাম পেয়েছি, অবশ্যই টিকা কেনার এ সুযোগ হারানো উচিত হবে না।”
এর পাশাপাশি নেপালের কর্তৃপক্ষ গরীব দেশগুলোকে বিতরণের জন্য গঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থিত জোট থেকেও টিকা পাওয়ার আশা করছে।
রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও ইন্ডিয়ার ভারত বায়োটেকের তৈরি আরেকটি টিকাও নেপাল সরকারের অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
নেপালে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭৩ হাজার ৭০ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে আর তাদের মধ্যে দুই হাজার ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।