তবে উত্তর কোরিয়া ওই তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানায় বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহাপ জানায়, দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা গোপন সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইনপ্রণেতাদের এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিবিসি থেকে ফাইজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এখনো সাড়া দেয়নি।
উত্তর কোরিয়া সরকার এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহে দেশটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে বলে জানায় বিবিসি।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া শুরু করলে গত বছর জানুয়ারিতেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া।
গত নভেম্বরে মাইক্রোসফ্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সরকারি সমর্থনপুষ্ট হ্যাকাররা ফাইজারসহ অন্তত নয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিতে আক্রমণ চালিয়েছে।
তখন মাইকোসফ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছিল, হ্যাকিংয়ের বেশিরভাগ চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। তবে কেউ কেউ সফল হয়ে থাকতে পারেন বলেও তারা সতর্ক করেছিল।
ক্রেমলিন অবশ্য অন্যদেশের কোভিড-১৯ টিকা তৈরির গবেষণার তথ্য চুরির চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও তাদের অত্যন্ত আধুনিক সাইবার-ইউনিট রয়েছে। সেখানকার হ্যাকাররা শুধুমাত্র গোপন তথ্য পেতে নয় বরং অর্থের জন্যও নিয়মিত নানা দেশে সাইবার হামলা চালায়।
গত বছর যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্র তাদের কোভিড টিকা তৈরির গবেষণা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করেছিল।
এবছর তারা টিকার সরবরাহ এবং বিতরণের কাজ ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।