চীনা চাপের বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিংকেন

যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরের বিস্তীর্ণ জলসীমার ওপর চীনের দাবি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি চীনের চাপ মোকাবেলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

>>রয়টার্স
Published : 28 Jan 2021, 03:53 PM
Updated : 28 Jan 2021, 03:53 PM

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিওডোরো লকসিনের সঙ্গে ফোনালাপকালে ব্লিংকেন একথা বলেন।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকাই নিজের বলে দাবি করে আসছে। তবে ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাইসহ তাইওয়ানেরও এ সাগরের ওপর দাবি আছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ব্লিংকেন পিপলস রিপাবলিক অব চীনের (পিআরসি) চাপের মুখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর দাবির পাশেই দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

তাছাড়া, মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা চুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়াসহ ফিলিপিন্সের সঙ্গে পারষ্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলা আক্রমণের শিকার হলে এই চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন ব্লিংকেন।

চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, করোনাভাইরাস মহামারীর সুযোগ নিয়ে চীন দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের পরই ‘সমুদ্রে অবাধ বিচরণ’ নিশ্চিত করতে গত শনিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরীসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে।

চীন এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পরই গত মঙ্গলবার দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোনও দেশ যেন উত্তেজনা বাড়ানোর মতো কিছু না করে- ফিলিপিন্সের এমন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই চীন ওই ঘোষণা দেয়।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপাঞ্চলে বিদেশি কোনও জাহাজের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং অন্য কোনও দেশের তৈরি কোনও কাঠামো গুঁড়িয়ে দিতে চীন তাদের উপকূলরক্ষীদেরকে ‘সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার’ এখতিয়ার দিয়ে গত শুক্রবারেই একটি আইন পাশ করেছে।

এ আইন পাশ করে চীন ‘যুদ্ধের হুমকি’ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিপিন্স। বুধবার ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লকসিন বলেন, তার দেশ চীনের এই আইন পাশ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।

লকসিনের এই কথার পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন চীনা চাপের বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশে থাকার ওই প্রতিশ্রুতি দেন।