ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজির সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্লিংকেন ‘আব্রাহাম চুক্তি’ অনুসারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনার প্রশংসা করেছেন; তিনি এই প্রক্রিয়া অগ্রসরে যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার প্রশাসনের আগ্রহের কথাও বলেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
“ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশকেনাজি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় অংশীদারিত্বর গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছেন এবং আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
ইসরায়েলের সঙ্গে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তিই হচ্ছে তথাকথিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস ’। এ অ্যাকর্ড বা চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে গত কয়েক মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
রয়টার্স লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতিকে পূর্বসূরী ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির বাইরে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ অনুসরণ করবেন বলে ডেমোক্র্যাটরা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আশকেনাজির সঙ্গে ব্লিংকেনের কথোপকথনেও সেটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, বলছেন পর্যবেক্ষকরা।