৪ বছরে ৩০ হাজারের বেশি ‘মিথ্যা’ বলার নজির ট্রাম্পের

এমন ঝুরি ঝুরি মিথ্যা বোধহয় আর কোনও প্রেসিডেন্টই বলেননি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চারবছর মেয়াদে ৩০ হাজার ৫৭৩টি মিথ্যা বলে বিরল নজির সৃষ্টি করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2021, 01:20 PM
Updated : 24 Jan 2021, 05:10 PM

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকা বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবদেন প্রকাশ করে জানিয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, টুইট বা সাক্ষাৎকার বিবেচনায় নিয়ে তার বলা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর কথা গুনে এই সংখ্যা বের করেছে।

এর মধ্যে ট্রাম্প যে মিথ্যাটি সবচেয়ে বেশিবার বলেছেন তা হল, তার আমলেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ট্রাম্পের আমলের চেয়েও সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার, লিন্ডন বি. জনসন এবং বিল ক্লিনটন আমলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেশি ছিল।

গত বছর নির্বাচনী প্রচার শুরু হলে ট্রাম্পের মিথ্যা বলাও বেড়ে যায়, বিশেষ করে গত অক্টোবর থেকে।

আর ৩ নভেম্বরের ভোটের পর শুরু করেন ‘ভোট কারচুপির’ প্রমাণহীন অভিযোগ। ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ নিয়ে তিনি একের পর এক রাজ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অথচ কোথাও ‘ভোট চুরি’ এমনকি ভোটে অনিয়মের প্রমাণ পর্যন্ত তিনি দেখাতে পারেননি। তার একের পর এক আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়।

তারপরও ট্রাম্প থামেননি। ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে তিনি পরাজয় স্বীকার না করে বরং নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন এবং একের পর এক টুইট করাসহ নানা জায়গায় বক্তৃতার সময় সমর্থকদের সহিংসতায় উসকানি দিয়ে কথা বলতে থাকেন। যার ফলে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলা। যে ঘটনায় এক ক্যাপিটল পুলিশ ছাড়াও চার ট্রাম্পভক্তের প্রাণ যায়।

ট্রাম্পের ক্রামগত মিথ্যা ও সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার জেরে টুইটার কর্তৃপক্ষ তার অনেক টুইট মুছে দেয় এবং ক্যাপিটলে দাঙ্গার পর ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়।

ক্যাপিটলে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুইবার অভিশংসিত হন ট্রাম্প। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে অভিশংসিত ট্রাম্পের বিচার চলবে।

ওয়াশিংটন পোস্টের হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প তার মেয়াদকালে সর্বশেষ মিথ্যা কথাটি বলেছেন ২০ জানুয়ারি, অ্যান্ড্রুস বিমান ঘাঁটিতে তার বিদায় অনুষ্ঠানে।

ওইদিন ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা কর কমিয়েছি, সবচেয়ে বেশি কর কমিয়েছি এবং আমাদের দেশের ইতিহাসের সংস্কার করেছি।”

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সবচেয়ে বেশি কর কমিয়েছিলেন।