শনিবারের এই অনুপ্রবেশের ওপর ‘নজরদারি’ করতে তাইওয়ানের বিমান বাহিনী তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েন করেছিল বলে জানিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছ, তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটি প্রায় প্রতিদিন তাইওয়ান ও তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এসব ফ্লাইটে সাধারণত একটি বা দু’টি নজরদারি বিমান থাকে। কিন্তু এবারের ফ্লাইটে প্রায় ১২টি যুদ্ধ বিমান ছিল বলে জানিয়েছে তাইওয়ান। এগুলোর মধ্যে আটটি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এইচ-৬কে বোমারু ও চারটি জে-১৬ যুদ্ধবিমান ছিল, যা অস্বাভাবিক।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বিমান বাহিনী চীনের বিমানগুলোকে সতর্ক করে এবং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে সেগুলোর ওপর নজর রাখে।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তারা বলেছে, “যুদ্ধবিমানগুলো সতর্ক অবস্থায় ছিল, রেডিও সতর্কতা জানানো হয় ও প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমগুলো মোতায়েন করে তাদের তৎপরতার ওপর নজর রাখা হয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাইওয়ানের ওপর চাপ প্রয়োগ বন্ধে চীনের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দ্বীপটিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে মিত্রতা আরও গভীর করবে বলে জানিয়েছে।
এসব নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চীন কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে চীন জানিয়েছিল, তারা তাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মহড়া পরিচালনা করছে।