কোভিডের মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হল জাপানে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলতি মাসে জাপানের সাত প্রদেশে জরুরি অবস্থা চলার মধ্যেই গত শনিবার ও রোববার নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2021, 12:52 PM
Updated : 19 Jan 2021, 12:52 PM

৩১ বছর পর দেশটিতে নতুন পদ্ধতিতে এ   পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত একদিনে নেওয়া হলেও এবারই কোভিডের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আরও একদিন বাড়িয়ে রোববারও পরীক্ষা নেওয়া হয়।

কোভিডে আক্রান্ত শিক্ষার্থী, যারা এ দুইদিন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেননি তারা চলতি মাসের ৩০ ও ৩১ তারিখেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে ৫ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। এই সংখ্যা দুইভাগে বিভক্ত করে সারা দেশে ৬৮১ টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ৭১৮ জন বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারায় তারা দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।

জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর মেলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দ্বিতীয় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ। এই  ধাপে  পাস করলে আগামী এপ্রিলে শুরু ক্লাস শুরু করবে তারা।

কোভিডের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিছুদিন বন্ধ থাকলেও কৌশলগতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা গত বছরের জুন থেকে চলছে। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষাও হচ্ছে। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হল ভর্তি পরীক্ষা।

তবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য জাপান সরকার গত বছর জুলাইয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছিল, যার মধ্যে ছিল, #ভর্তি পরীক্ষা অংশ গ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সাত দিন আগ থেকে প্রতিদিন সকালে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা এবং তাপমাত্রার ডেটা পরীক্ষা কেন্দ্রে আনতে হবে।

#আবেদনকারীদের শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট কিংবা গন্ধ বা স্বাদের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলায় ব্যথা কিংবা ডায়রিয়া হলে বিকল্প পরীক্ষার জন্য তারা আবেদন করতে পারবে।

# কোনও আবেদনকারী পরীক্ষাস্থলে পৌঁছানোর পর কোভিডের লক্ষণ প্রকাশ পেলে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাকে আলাদা কক্ষে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা বা বিকল্প পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে দেওয়া উচিত কিনা।

# যদি কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকে তাহলে পরীক্ষা অংশ নেওয়ার দিন তাকে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে। পরীক্ষার দিন কোনও লক্ষণ থাকা যাবে না এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস ব্যবহার না করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে।

# ভর্তি পরীক্ষার দিন থার্মোগ্রাফ (মুঠোফোনে অ্যাপে) তাপমাত্রা স্বাভাবিক কী না তা নিশ্চিত করা হবে এবং # প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক পরতে হবে।