রাশিয়ার টিকা অনুমোদনে ‘আরও তথ্য’ চাইল ব্রাজিল

রাশিয়ার বানানো করোনাভাইরাসের টিকা ‘স্পুৎনিক’ দেশে জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দিতে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও উৎপাদন সংক্রান্ত আরও তথ্য চেয়েছে ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2021, 11:44 AM
Updated : 17 Jan 2021, 11:44 AM

ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি উনাইও কুইমিকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে রুশ টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল।

প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় শনিবার তাদের ওই আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আনভিসা জানায়, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের পর্যাপ্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে জরুরি ব্যবহারের আবেদনটি গৃহীত হয়নি।

উনাইও কুইমিকা চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই ব্রাজিলে ‘স্পুৎনিকের’ ১০ লাখ ডোজ প্রয়োগের অনুমতি চেয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে ‘স্পুৎনিকের’ প্রচারের দায়িত্বে থাকা রাশিয়ার আরডিআইএফ রোববার জানিয়েছে, আনভিসা যে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছে, সেগুলো দ্রুতই সরবরাহ করা হবে।

নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের তথ্যের অনুরোধ আসা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার; এর অর্থ এই নয় যে ব্রাজিলে টিকাটির নিবন্ধন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, বিবৃতিতে বলেছে আরডিআইএফ।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ায় ‘স্পুৎনিকের’ ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনও সেখানে এর সব ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হয়নি।

টিকাটি এরই মধ্যে সার্বিয়া, বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, আলজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, প্যারাগুয়ে ও ফিলিস্তিনে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে আরডিআইএফ।

কয়েকদিনের মধ্যে অন্তত আরও ২টি দেশে টিকাটি নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে, জানিয়েছে তারা।

টানা ৫দিন হাজারের বেশি মৃত্যু

‘স্পুৎনিকের’ নিবন্ধনের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার দিনই ব্রাজিল টানা পঞ্চম দিনের মতো কোভিড-১৯ এ হাজারের বেশি মৃত্যুও দেখেছে।

শনিবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১ হাজার ৫৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়; একই সময়ে ভাইরাস দেশটির এক হাজার ৫০ জনের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্ত ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষের।