ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছেন। কর্তৃপক্ষ আরও ভূমিকম্প হতে পারে এবং তা সুনামি ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথম প্রহরে রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎস ছিল মাজেনি শহরের ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এসব জায়গায় ধ্বংসস্তুপের নিচে কিছু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কয়েক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকায়, সেতু ক্ষত্রিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা প্রাথমিকভাবে মাজেনি শহরে চারজনের মৃত্যু এবং ৬৭৩ জনের আহত হওয়ার খবর দেয়। পরে ধীরে ধীরে আশপাশের এলাকা থেকেও হতাহতের খবর আসতে থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সেতু মেরামতের পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে তাঁবু, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পশ্চিম সুলাওয়েসির প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র সফরউদ্দিন।
রাত দেড়টার দিকে ওই ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি না হলেও আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়া একটি শিশুকে উদ্ধারের জন্য মানুষ খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করছে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার একই জেলায় ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি দেখা দেয়। ওই ঘটায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
আর ২০০৪ সালে সুমাত্রায় ৯.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যে সুনামি দেখা দিয়েছিল, তাতে ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।