সুপ্রিম কোর্টেও দ. কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের সাজা বহাল

ক্ষমতার অপব্যবহার ও জবরদস্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইকে দেওয়া ২০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2021, 11:39 AM
Updated : 14 Jan 2021, 11:53 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম এ নারী প্রেসিডেন্ট প্রথমে ৩০ বছরের কারাদণ্ড পেলেও গত বছরের জুলাইয়ে আপিলের পর তার সাজা কমিয়ে ২০ বছর করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ওই সাজাই বহাল রাখে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত পার্কের এক হাজার ৮০০ কোটি ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) জরিমানার রায়ও বহাল রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট পার্কের দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বড় দুটি কোম্পানির প্রধানকেও জেলে যেতে হয়েছে।

৬৮ বছর বয়সী পার্ককে প্রথমে ৩০ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার কোটি ওন জরিমানা করলেও উচ্চ আদালত পরে গত বছর তার সাজা ২০ বছরে নামিয়ে আনে; জরিমানাও কমিয়ে করা হয় এক হাজার ৮০০ কোটি ওন (এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার) ।

ওই রায়ে পার্ককে দুর্নীতির দায়ে ১৫ বছর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়েও তা বহাল থাকল।

ঘুষ নেওয়া ও জবরদস্তিসহ ১৮টি অভিযোগের ১৬টিতেই পার্ক ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চোই সুন-সিলের সঙ্গে মিলে পার্ক ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং, রিটেইল চেইন লোটের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চোই পরিচালিত ফাউন্ডেশনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দিতে চাপ দিয়েছিলেন। 

চোইয়ের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আকর্ষণীয় চুক্তি করতে এবং চোই ও তার মেয়েকে উপহার দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা এবং বান্ধবীর সঙ্গে গোপনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল নথি শেয়ারের অভিযোগেও পার্ক দোষী সাব্যস্ত হন।  

সাবেক এ প্রেসিডেন্ট অবশ্য অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন; তিনি আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছিলেন।

পার্কের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে তার সঙ্গে বান্ধবী চোইয়ের সম্পর্কের বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পায়। টানা শুনানি ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর ২০১৭ সালের মার্চে পার্ক ক্ষমতাচ্যুত হন; এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত চোই ২০১৮ সালে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।