ট্রাম্পের দেয়াল কতটা এগিয়েছে?
নিউজ ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 13 Jan 2021 12:58 PM BdST Updated: 13 Jan 2021 01:00 PM BdST
-
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অগ্রগতি দেখতে মঙ্গলবার টেক্সাসে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
-
-
-
-
টেক্সাসের মেক্সিকো সীমান্তে নির্মাণ করা দেয়ালে একটি ফলক বসানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নামে। মঙ্গলবার দেয়াল নির্মাণের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে তাতে সই করেন তিনি।: ছবি: রয়টার্স
মেয়াদের একেবারে শেষ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সরাতে ডেমোক্র্যাটরা যখন অভিশংসনের তোড়জোড় চালাচ্ছে, ডনাল্ড ট্রাম্প তখন টেক্সাসে গিয়ে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অগ্রগতি দেখে এলেন।
Related Stories
মঙ্গলবার এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “৪০০ মাইলের বেশি সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের সমাপ্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফর। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রতিশ্রুতি রেখেছেন…।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মেয়াদে মেক্সিকো সীমান্তের ওই দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ কতটা করতে পেরেছেন, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
দেয়ালের কতটা নতুন
২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন, তার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে ৬৫৪ মাইল ( ১০০০ কিলোমিটারের সামান্য বেশি) সীমান্ত জুড়ে বেড়া বা প্রতিবন্ধকতা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের চার স্টেট ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা, নিউ মেক্সিকো আর টেক্সাস ঘেঁষে চলে গেছে ওই সীমান্ত বেড়া।

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ গত ৪ জানুয়ারি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে সব মিলিয়ে ৪৫২ মাইল (৭২৭ কিলোমিটার) দেয়াল থাকার কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে ৮০ মাইল অংশে নতুন নির্মাণ কাজ হয়েছে। এর ৪৭ কিলোমিটারে একেবারেই নতুন দেয়াল হয়েছে, বাকি ৩৩ কিলোমিটারে পুরনো বেড়ার জায়গায় দেয়াল তোলা হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, ওই ৪৫২ মাইলের বেশিরভাগ অংশে আসলে আগের সরকারের সময় বানানো বেড়া বা অবকাঠামো বদলে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে।
দেয়াল নির্মাণের টাকা মেক্সিকো দিয়েছে?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালে একাধিকবার বলেছিলেন, সীমান্তে ওই দেয়াল নির্মাণের অর্থ মেক্সিকোকেই দিতে হবে। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।
বিবিসি লিখেছে, দেয়াল নির্মাণের ব্যয়ভার যুক্তরাষ্ট্র সরকারই বহন করেছে। আর সেই অর্থায়ন নিয়ে কংগ্রেস আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে টানাপড়েনও হয়েছে একাধিকবার।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কংগ্রেসকে বলেছিলেন, আগামী এক দশকে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ১৮ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ অনুমোদন করতে হবে। কিন্তু সেই বিল কংগ্রেসে টেকেনি।
সীমান্তের কয়েকটি প্রকল্পের জন্য কিছু টাকা বরাদ্দের অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ২০১৮ সালে দিয়েছিল। পরের বছর কংগ্রেস আরো টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ টাকার একটি অংশ দেয়াল নির্মাণে খরচ করার ব্যবস্থা করেন।

বিবিসি লিখেছে, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মানের কাজে ট্রাম্পের সময়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মত খরচ হয়েছে। ওই অর্থ এসেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিম প্রতিরক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে।
তবে গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও ট্রাম্প দাবি করেছেন, দেয়াল নির্মাণের খরচ মেক্সিকোই দিচ্ছে।
এর আগে গতবছর মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে করা নতুন বাণিজ্য চুক্তির প্রসঙ্গ ধরে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই চুক্তির ফলে প্রকারান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক টাকা বেঁচে যাবে। আর সেই টাকা সীমান্তে দেয়াল তুলতে খরচ করা যাবে।
তবে ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনা কতটা কীভাবে কাজে লেগেছে তা ‘স্পষ্ট নয়’ বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এরপর ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সীমান্তে গ্রেপ্তার মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। তবে ২০২০ সালে সেই সংখ্যা আবার কমে গেছে।
পিউ রিসার্চের গবেষক আনা গনজালেস-ব্যারেরাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে অনেক দেশই তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ রেখেছে। ফলে বিশ্বজুড়েই সীমান্তে অভিবাসীসের আনাগোনা ২০২০ সালে কমে এসেছে। ফলে মেক্সিকো সীমান্তেও গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমেছে।

টেক্সাসের মেক্সিকো সীমান্তে নির্মাণ করা দেয়ালে একটি ফলক বসানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নামে। মঙ্গলবার দেয়াল নির্মাণের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে তাতে সই করেন তিনি।: ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ তিনি আর চালাবেন না।
তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, তার প্রশাসন দায়িত্ব নিলে দেয়াল আর এক ফুটও বাড়বে না। আর ট্রাম্পের সময়ে যেভাবে প্রতিরক্ষা বাজেটের টাকা দেয়ালের পেছনে ঢালা হয়েছে, সেটাও তিনি সমর্থন করেন না।
তার বদলে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন আগামী ২০ জানুয়ারি অভিষিক্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বাইডেন।
তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাইডেন ‘স্মার্ট বর্ডার এনফোর্সমেন্টে’ অর্থ ব্যয় করবেন। বন্দর ও সীমান্তের প্রবেশ পথগুলোতে স্ক্রিনিং জোরদার করতে তহবিল যোগাবেন।
তবে ট্রাম্পের সময় দেয়াল নির্মাণের জন্য যে ঠিকাদারি চুক্তি হয়েছিল, তার বিষয়ে নতুন প্রশাসন কী বরবে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
-
ফিলিস্তিনে নির্বাচন নিয়ে অবিশ্বাস, বিভক্তি, সন্দেহ
-
আফগানিস্তানে দুই নারী বিচারককে গুলি করে হত্যা
-
রাশিয়ার টিকা অনুমোদনে ‘আরও তথ্য’ চাইল ব্রাজিল
-
ভূমিকম্প: ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩
-
বাইডেনের অভিষেকের দিনই আসছে ডজনখানেক নির্বাহী আদেশ
-
কোভিড-১৯: তৃতীয় সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু দেখল যুক্তরাজ্য
-
চীনে আইসক্রিমে করোনাভাইরাস
-
সশস্ত্র বিক্ষোভের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সতর্কতা
সর্বাধিক পঠিত
- নোয়াখালীতে ফের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলা
- দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মেয়র হলেন যারা
- ভোটে জিতে কাদের মির্জা বললেন, কথা বলে যাব
- বিমানের সহযাত্রী করোনাভাইরাস পজিটিভ, কোয়ারেন্টিনে ৪৭ খেলোয়াড়
- সিরাজগঞ্জে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী নিহত
- তিন নতুন মুখের ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচকের
- অঁজিকে হারিয়ে শীর্ষে পিএসজি
- অভিষেকে অনুজ্জ্বল টেন্ডুলকারের ছেলে
- উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে হাসান-শরিফুল-মেহেদি
- এখন কেউ ‘খেলতে’ এলেই ধরা পড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান