বিবিসি জানায়, রাশিয়ায় ওই পরীক্ষা চালানো হবে এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিরা ‘ট্রায়ালে’ অংশ নেবেন। তবে ঠিক কত মানুষের উপর এই পরীক্ষা চালানো হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুইটি একই ধরনের টিকার সংমিশ্রণে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অধিকতর উন্নতি হতে পারে।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড তাদের টিকার অন্তর্বর্তীকালীন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে এবং তাতে দেখা গেছে, তাদের টিকা মানুষের জন্য নিরাপদ এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর।
তবে গবেষকরা এখনো বয়স্কদের উপর অক্সফোর্ডের টিকার কার্যকারিতার তথ্য সংগ্রহ করছে। সেইসঙ্গে তারা যুক্তরাজ্যের টিকার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অংশীদার অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে এই টিকা আবিষ্কার করেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, তারা ভিন্ন ভিন্ন ‘অ্যাডেনোভাইরাস’ এর টিকার সংমিশ্রণ পরীক্ষা করে দেখছে তাতে মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অধিকতর সাড়া দেয় কিনা বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরো বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় কিনা।
অন্যদিকে, মস্কোর গামালিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি টিকা আবিষ্কার করেছে।
উভয় কোম্পানির টিকা আবিষ্কার পদ্ধতি এক। তারা সার্স-সিওভি-২ স্পাইক প্রোটিন থেকে ‘জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল’ ধারণ করেছে।
তাদের টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক এর টিকার থেকে ভিন্ন। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন ও সৌদি আরব ফাইজার-বায়োএনটেক এর টিকার অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
রাশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড-১৯ টিকার গণ ব্যবহারে জরুরি অনুমোদন দেয়। গত অগাস্টে তারা ওই অনুমোদন দেয়। যদিও তখনো তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়া বাকি ছিল। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় তাদের টিকা মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, তারা সারা বিশ্বের নানা ওষুধ কোম্পানি, সরকার এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সঙ্গে কাজ করছে এবং খুব শিগগির তারা রাশিয়ার গামালিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সঙ্গে মিলে তাদের ‘অ্যাডেনোভাইরাস’ ভিত্তিক টিকা দুইটির সফল সংমিশ্রণের মাধ্যমে অধিকতর ভালো ফলাফল পাওয়া যায় কিনা তার পরীক্ষা শুরু করবে।