দুর্নীতির দায়ে অস্ট্রিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রীর ৮ বছরের কারাদণ্ড

অস্ট্রিয়ার একটি আদালত দুর্নীতির দায়ে দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী কার্ল-হেইনজ গ্রাসারকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2020, 06:17 AM
Updated : 5 Dec 2020, 06:17 AM

সরকারি মালিকানাধীন হাজার হাজার অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ ও চুক্তির নথি বিকৃতির অভিযোগে শুক্রবার গ্রাসার দোষী সাব্যস্ত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

সাবেক এ অর্থমন্ত্রী ৯ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, জানিয়েছে ভিয়েনার আদালত।

গ্রাসার তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

২০০০ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনিই ছিলেন অস্ট্রিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী অর্থমন্ত্রী।

যে মামলায় তার কারাদণ্ডের রায় হল তাতে ১৪ আসামির সবার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার, জালিয়াতি, নথি বিকৃতিসহ একাধিক অভিযোগ ছিল।

আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রাসার ও এক দালাল সরকারি মালিকানাধীন ৬০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের নিলামের তথ্য সুনির্দিষ্ট একটি কনসোর্টিয়ামকে দিলে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকে প্রকল্পটি হাতিয়ে নেয়।

কনসোর্টিয়াম ওই অ্যাপার্টমেন্টগুলো ৯৬১ মিলিয়ন ইউরোতে কিনে নেয় এবং ঘুষ হিসেবে ক্রয়মূল্যের এক শতাংশ (৯৬ লাখ ইউরো) ফ্রিডম পার্টি অব অস্ট্রিয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াল্টার মিশবের্গার ও লবিস্ট গোশেগারকে দেয়। দুর্নীতির দায়ে মিশবের্গার ও গোশেগারকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

ঘুষ হিসেবে দেওয়া ওই টাকা পরে ইউরোপের ছোট দেশ লিখটেনস্টাইনের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায় বলে আদালত প্রমাণও পেয়েছে। 

কয়েকশ’ সাক্ষীর সাক্ষ্য, টেলিফোনে আড়ি পেতে নেওয়া কথোপকথনের ভিত্তিতে দুর্নীতির এ মামলার রায় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ার গণমাধ্যমগুলো। 

বিচারক মারিয়ন হোহেনেকার রায় ঘোষণার সময় বলেন, “যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা করে তাদের লিখটেনস্টাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দরকার পড়ে না।”

গ্রাসারের আইনজীবী তার মক্কেলকে দেওয়া কারাদণ্ডের রায়কে ‘ভয়াবহ অবিচার’ অ্যাখ্যা দিয়ে শিগগিরই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন।