তিগ্রাইয়ে বিদ্রোহী কমান্ডাররা নিহত কিংবা পরাজিত হয়েছে: ইথিওপিয়া

তিগ্রাই অঞ্চলে যুদ্ধ শেষ হয়ে এসেছে। সেখানকার বিদ্রোহী বাহিনীর বেশিরভাগ কমান্ডার নিহত হয়েছেন কিংবা ধরা পড়েছেন বলে দাবি করেছে ইথিওপিয়া।

>>রয়টার্স
Published : 4 Dec 2020, 04:09 PM
Updated : 4 Dec 2020, 04:09 PM

তবে তিগ্রাইয়ের স্থানীয় বিদ্রোহী নেতা শুক্রবার এই দাবির পাল্টায় বলেছেন, অঞ্চলটিতে দখলদারী সেনারা লুটপাট চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছে।

তবে দুপক্ষের কেউই তাদের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করেনি। তাছাড়া, তিগ্রাইয়ে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকাসহ সেখানে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এসব দাবি যাচাই করাও কঠিন।

গত ৪ নভেম্বর থেকে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের ফেডারেল সেনাবাহিনী এবং তিগ্রাই অঞ্চলের সাবেক ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) এর অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়।

এ লড়াইয়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবেশী সুদানে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি বৃহস্পতিবার তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেল্লের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে, শহরের কাছের বিভিন্ন জায়গায় এখনও লড়াই চলছে। টিপিএলএফ’ও বলে আসছে তারা লড়ে যাচ্ছে।

তবে ইথিওপিয়ার এক মন্ত্রী একথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “কোনও লড়াই চলছে না।” টিপিএলএফ লড়াইকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা এবং সরকারকে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় যেতে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ভাষ্য ইথিওপিয়ার।

ইথিওপিয়ার ঊর্ধ্বতন এক সামরিক কমান্ডার বলেছেন, তিগ্রাইয়ের পক্ষে লড়াই করা সাবেক ফেডারেল কর্নেল এবং জেনারেলরাসহ “প্রায় সব শত্রুই” পরাজিত হয়েছে অথবা নিহত হয়েছে।”

ওদিকে, জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয় কার্যালয় বলছে, তারা তিগ্রাইয়ের অনেক স্থানেই এখনও লড়াই চলার খবর পেয়েছে। ওই এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক এবং জটিল।

এতে সেখানে খাবার এবং ওষুধের অভাবে দুর্ভোগে থাকা লাখো মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহ প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।