করোনাভাইরাস: বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ছাড়াল ১৫ লাখ

চীনের উহানে আবির্ভূত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2020, 06:24 AM
Updated : 4 Dec 2020, 06:24 AM

এর মধ্যে কেবল গত দুই মাসেই ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ডিসেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ টিকার ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে টিকাদান কর্মসূচির আওতা বাড়লে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদ বিশ্লেষকদের। 

রয়টার্সের হিসাবে উহানে দেখা মেলার এক বছর পার হওয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বিবেচনায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র এখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে।

কোভিড-১৯ এ গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি সপ্তাহ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি মৃত্যু দেখছে। রয়টার্সের হিসাবে এখন গড়ে প্রতি ৯ সেকেন্ডে ভাইরাস আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হচ্ছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ দেখা যাচ্ছে; কোথাও কোথাও এ ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়েও বড় হওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিনই নিত্যনতুন বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এর মধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার  ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কেবল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মিলে যত মৃত্যু হয়েছে, তা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি। 

মৃত্যু বিবেচনায় বিশ্বের মধ্যে ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকায় কোভিড-১৯ সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত যত মৃত্যু হয়েছে, তা ২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর চেয়ে বেশি এবং ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর প্রায় চারগুণের কাছাকাছি পৌঁছেছে। 

টিকা বিস্তৃত পর্যায়ে সহজলভ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত আগামী কয়েক মাস যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলা করা লাগতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করেছেন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান রবার্ট রেডফিল্ড।

বৃহস্পতিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের ডিজিজ কন্ট্রোল গ্রুপ জানিয়েছে, তারা আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মহাদেশের অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

আফ্রিকার জনসংখ্যা ১৩০ কোটির কাছাকাছি। মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।