যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন এক হাজারের বেশি চীনা গবেষক

প্রযুক্তি চুরির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কড়াকড়ির পদক্ষেপের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি চীনা গবেষক দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একথা বলেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 3 Dec 2020, 02:07 PM
Updated : 3 Dec 2020, 02:07 PM

চীনা এজেন্টরা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হবু বাইডেন-প্রশাসনকে নিশানা করছে বলেও বুধবার জানিয়েছেন তারা। তবে চীন এই অভিযোগ ‘অবাস্তব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

মার্কিন বিচার বিভাগের জাতীয় নিরাপত্তা শাখার প্রধান জন ডেমারস ‘অ্যাস্পেন ইনস্টিটিউট থিঙ্কট্যাংক’ আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, শিল্প ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গুপ্তচরবৃত্তিতে তৎপর চীনাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ একাধিক অপরাধ মামলা শুরু করায় গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যান।

বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে পররাষ্ট্রবিভাগ যেসব চীনা নাগরিকের ভিসা প্রত্যাহার করেছিল সেই দলে এই গবেষকরা নেই। শিক্ষার্থী ও গবেষকদেরকে দেশের নিরাপত্তায় ঝুঁকি বিবেচনা করে গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপে এক হাজার চীনা নাগরিকের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

বিচার বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, জন ডেমারস যাদের কথা উল্লেখ করেছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ মনে করে, তাদের সঙ্গে ‘চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সংশ্লিষ্টতা আছে। মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর গত জুলাইয়ে হিউসটোনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০ টির বেশি শহরে সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করার পর ওই গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছেন।

ডেমারস বলেন, ব্যাপক পরিসরে বিদেশি প্রভাব খাটানোর মতো কর্মকাণ্ডে কেবল ‘চীনাদেরই সম্পদ, ক্ষমতা ও ইচ্ছা’ থাকার বিষয়টি সম্প্রতি কয়েকবছরে প্রত্যক্ষ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা অধিকর্তার দপ্তরের গুপ্তচরবৃত্তি মোকাবেলা শাখার প্রধান উইলিয়াম ইভানিনা বলেছেন, চীনা চররা ইতোমধ্যে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হবু প্রশাসন এবং বাইডেনের দলের ঘনিষ্ঠজনদের নিশানা করেছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেন নি তিনি।

বাইডেনের ট্রানজিশন টিমও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে বাইডেনের ট্রানজিশন টিম এর আগে বলেছিল, তারা সাইবার হামলার আশঙ্কা করছে এবং এজন্য প্রস্তুত রয়েছে।