মাস্ক পরা নিয়ে কড়া নির্দেশনা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নিয়ে আরও কড়া দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 2 Dec 2020, 04:45 PM
Updated : 2 Dec 2020, 06:13 PM

নতুন এই নির্দেশনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার ঘটে চলা এলাকাগুলোর স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের প্রত্যেকেরই মাস্ক পরা এবং ভালো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নেই এমন ঘরেও অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

বুধবার ডব্লিউএইচও এ নির্দেশনা জারি করেছে।

এর আগে গত জুনে ডব্লিউএইচও নানা দেশের সরকারের কাছে জনগণকে জনসমাগমপূর্ণ এলাকা সেটা ঘরের ভেতর হোক বা বাইরে- ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া এড়াতে সব সময় কাপড়ের মাস্ক পরার পারামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করেছিল।

কিন্তু সে অনুরোধ যে সরকার বা জনগণ খুব একটা আমলে নেয়নি তার প্রমাণ মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি। জুনের পর মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ ‍শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৪ লাখের বেশি মানুষ।

বুধবার ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনায় বলা হয়, যেখানে মহামারীর বিস্তার ঘটছে সেখানে দোকান, কাজের জায়গায় বা স্কুলের মত বদ্ধ কক্ষে এমনকি শিশু-কিশোরদেরও সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা উচিত। বাড়িতে বদ্ধ কক্ষে কারও সঙ্গে দেখা করার সময়ও মাস্ক পরতে হবে।

বাইরে সবসময় মাস্ক পরতে হবে এবং বাতাস চলাচলের খুব ভালো ব্যবস্থা আছে এমন কক্ষ হলেও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে, সেখানেও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

এছাড়া, যেখানে কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটেছে সেখানে সব ধরণের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সবাইকে মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এমনকি, অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময়ও মাস্ক পরতে হবে। রোগীর দর্শণার্থীদের, আউটডোর পেশেন্ট এবং ক্যাফেটেরিয়া ও স্টাফরুমেরে মত হাসপাতালের কমন এলাকায়ও একই দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের সম্ভব হলে এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে।

তবে শারীরিক কসরত করার সময় মাস্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।