প্রেসিডেন্টের ক্ষমার জন্য ঘুষ: যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু

প্রেসিডেন্টের ক্ষমার জন্য হোয়াইট হাউজে ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার সম্ভাব্য এক ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 05:06 AM
Updated : 2 Dec 2020, 05:56 AM

যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ বেরিল হাওয়েল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনকে এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন। 

রয়টার্স জানিয়েছে, আদালতের নথিতে এ বিষয়টিকে ‘ক্ষমার জন্য ঘুষ নিয়ে তদন্ত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

তবে ১৮ পৃষ্ঠার ওই নথির যে সংস্করণটি সবার দেখার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে অর্ধেক তথ্যই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে অংশটুকু পড়া যায়, তাতে কারও নাম বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই। 

ওয়াশিংটনে ফেডারেল প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেওয়ার প্রস্তাব করার কথা রয়েছে।

নিয়ম ভেঙে গোপনে তদবির করার একটি অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি লবিস্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যদিও লবিস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার এবং তদবিরের বিষয়বস্তু প্রকাশের বাধ্যবাধকতা তারা মানেননি।

সিএনএন লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় বিচার বিভাগের এই তদন্তের ঘোষণা নতুন আলোচনার জন্ম দিল।

ট্রাম্পের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সহযোগী ইতোমধ্যে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং এমন হতে পারে যে, প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কাউকেই ক্ষমার পরিকল্পনা নিয়ে এই তদন্ত।    

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অবশ্য বলেছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিশানা করে এই তদন্ত তারা শুরু করছে না।

একজন আইনজীবী এবং তার একজন মক্কেলের মধ্যে লেনদেন হওয়া কিছু ইমেইল দেখার জন্যও আদালতে অনুমতি চেয়েছিলেন প্রসিকিউটররা।

বিচারক গত অগাস্টেই সে অনুমতি দিয়েছিলেন, তবে ওই দুই ব্যক্তির নাম আদালতের নথিতে প্রকাশ করা হয়নি।  

প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই তদন্তের জন্য মোট তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা করেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত আসামিদের ক্ষমা বা শাস্তি মওকুফের ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের হাতে।     

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহেই তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের সাজা মওকুফ করার আদেশ দেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার যোগসাজশ নিয়ে তদন্তে এফবিআইকে মিথ্যা বলেছিলেন ফ্লিন। পরে তিনি আদালতে সে কথা স্বীকার করে নেন।