ইরান সরকারকে পরমাণু বোমা তৈরি উপযোগী করে ইউরেনিয়ম সমৃদ্ধকরণ বাড়ানো, নিষেধাজ্ঞা না ওঠা পর্যন্ত অস্ত্র পরিদর্শন স্থগিত রাখা এবং বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির নানা শর্ত উপেক্ষা করার প্রস্তাব দিয়ে আনা একটি বিল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে পাস হয়েছে।
যদিও সরকার ঝটপট বলেছে যে, গত শুক্রবার শীর্ষ বিজ্ঞানী খুনের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া এই পদক্ষেপে ইরানের পরমাণু নীতি পরিবর্তন হবে না।
কট্টরপন্থি-অধ্যুষিত ইরানি পার্লামেন্টের মঙ্গলবারের অধিবেশন রাষ্ট্রীয় বেতারে সরাসরি সম্পচার করা হয়েছে। সেখানে খসড়া বিল পেশের পরপরই তা পাস হয়। কয়েকজন আইনপ্রণেতা এ সময় ‘আমেরিকা নিপাত যাক! ইসরায়েলে নিপাত যাক!’ স্লোগানও দিয়েছেন।
আইনে পরিণত হতে বিলটিকে এখনও অনুমোদনের দুটি ধাপ পেরোতে হবে। সম্প্রতি কয়েকবছরে ইরানের পার্লামেন্ট প্রায়ই পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান দাবি করে আসছে। তবে এ চেষ্টা তেমন সফল হয়নি।
বিজ্ঞানী মোহসেন হত্যার কঠোর জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের এই সময়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়বে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরান সরকারকে।
ইরানের রাষ্ট্রয় গণমাধ্যম জানায়, সরকারের মুখপাত্র আলি রাবিয়ি সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, “সরকার বিশ্বাস করে, সংবিধানের আওতায় পরমাণু চুক্তি এবং পারমাণবিক কর্মসূচি… সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের আওতাধীন… পার্লামেন্টের এ বিষয়ে কিছু করার এখতিয়ার নেই।”
ইরানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, তেহরানের ধারণা নির্বাসিত একটি ইরানি বিরোধীদল মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যায় ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাছাড়া, এ হত্যাকাণ্ড কে চালিয়েছে তা জানেন না বলে শনিবার জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক মন্ত্রীও।