‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র ছুটি শেষে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়া নিয়ে ফাউচির সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এ সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার তীব্র রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2020, 03:41 PM
Updated : 1 Dec 2020, 10:49 AM

তবে তিনি মনে করেন, এখনও ভয়াবহ ওই অবস্থা ঠেকানো সম্ভব।

রোববার তিনি বলেন, ‘‘এখনও অনেক দেরি হয়ে যায়নি। যারা এখনও ভ্রমণ করছেন তারা যদি সবসময় মাস্ক ব্যবহার করেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন তবে তা ভাইরাস সংক্রমণের গতি কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রে ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’ তে এক সপ্তাহ ছুটি থাকে। এই সময়ে প্রচুর মানুষ ভ্রমণে বের হন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয় তালিকাতেই এক নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে দুই লাখ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষের।

মাঝে কিছুটা কমে এলেও শীতে সেখানে আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের পর আবারও সেখানে দৈনিক শনাক্ত লাখের কাছাকাছি বা লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এক নভেম্বর মাসেই সেখানে ৪০ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় যায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিবিসি ‍জানায়, গত বছরের হিসাব অনুযায়ী ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষ যাতায়াত করেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ বছর জনগণকে বাড়ি থেকেই ছুটি কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু জনগণ তাদের সেই পরামর্শ খুব একটা কানে তুলেছে বলে মনে হয় না। কারণ, মার্চের মাঝামাঝির পর এই সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলো সবথেকে ব্যস্ত সময় পার করছে।

সিএনএনকে ডা. ফাউচি বলেন, ‘‘লোকজন যেভাবে ভ্রমণ করছে তাতে সংক্রমণ যে বাড়বে তা প্রায় নিশ্চিত।”

আরেকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভ্রমণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘যদি সম্ভব হয় তবে ভ্রমণ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকুন।”

হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর ডা. ডেব্রাহ বার্কসও একই কথা বলেছেন।

সিবিএস নিউজকে তিনি বলেন, যারা ছুটিতে ভ্রমণ করছেন তাদের নিজেদের ৬৫ বছর বয়সের উপরের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া একদমই উচিত হবে না।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন থ্যাঙ্কসগিভিং পরবর্তী অবস্থায় প্রবেশ করছি। এ সময়ে দেশজুড়ে রোগের সংক্রমণ তিন, চার বা ১০ গুণ বেশি বেড়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।”