ইরানের নিহত শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর দাফন

ইরানের নিহত শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে দাফন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2020, 10:57 AM
Updated : 30 Nov 2020, 10:57 AM

সোমবার রাজধানী তেহরানের উত্তরাংশের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা জানায় তারা।

পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন থেকেই ফাখরিজাদেকে ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির মূল ব্যক্তি বলে সন্দেহ করে এসেছে। কূটনৈতিকরা তাকে ‌‘ইরানের বোমার জনক’ আখ্যা দিয়েছিলেন।

শুক্রবার তেহরানের কাছে একটি মহাসড়কে চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হন তিনি। নিজের গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরানের দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির শাসক গোষ্ঠী ও সামরিক বাহিনী। এই হত্যার বদলা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

২০১০ সাল থেকে ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করে আসছে ইরান।

কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ফাখরিজাদের জানাযায় শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েক ডজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফাখরিজাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, ফাখরিজাদের কফিন দেশটির রাষ্ট্রীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো রয়েছে।

জানাযায় উপস্থিত ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিগ্রেডিয়ার আমির হাতামি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে বলেন, “শত্রুরা জানে আর একজন সৈনিক হিসেবে আমি তাদের বলছি, ইরানি জনগণ সব অপরাধ, সব সন্ত্রাস এবং সব নির্বোধ কাজেরই জবাব দেবে।”

এখানে জানাযা শেষে ফাখরিজাদের মরদেহ দাফনের জন্য উত্তর তেহরানের ইমামজাদে সালেহ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ রোববার জানিয়েছে, ফাখরিজাদেকে রিমোট কন্ট্রোল চালিত একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে ঘটনাস্থলে বন্দুকধারীদের থাকার কথা জানিয়েছিলেন।

ঘটনাস্থলে পাওয়া অস্ত্রে ইসরায়েলের সমরাস্ত্র কারখানার লোগো ও নাম ছিল বলে ইরানের প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফাখরিজাদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর তা প্রত্যাখ্যান করে।

শনিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্য যাচি হানেবি বলেছিলেন, কারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানেন না তিনি।