বিবিসি জানায়,মেয়েদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে যৌনতার ভিডিও শেয়ার করানো এবং অর্থের বিনিময়ে তা চ্যাটরুমে দেওয়ার একটি চক্র পরিচালনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন জু-বিন।
বিবিসি জানায়,অন্তত ১০ হাজার মানুষ ওই চ্যাটরুম ব্যবহার করেছে এবং কেউ কেউ চ্যাটরুমে ঢুকতে ১২শ’ ডলারও দিয়েছে। ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছে ১৬তরুণীসহ অন্তত ৭৪ জন।
বৃহস্পতিবার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালতের বরাত দিয়ে জানায়, অপরাধী ব্যক্তি ভুক্তভোগীদের লোভ এবং ভয় দেখিয়ে যৌনকর্মের ভিডিও তৈরি করে পরে সেগুলো ব্যাপকভাবে অনেকের কাছে সরবরাহ করতেন।
আদালত জানায়, মুনাফা লাভের জন্য যৌনতার ভিডিও ধারণ ও তা বিক্রয় চক্র পরিচালনা করা এবং শিশুদের যৌন হয়রানিরোধ বিষয়ক আইন ভঙ্গের অভিযোগে জু-বিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
জু-বিন এর অপরাধ চক্র ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে তোলা ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপের গোপন চ্যাটরুমগুলোতে বিক্রি করত।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ লাখ মানুষ জু-বিনের পরিচয় জানতে চেয়ে অনলাইনে আবেদন করার পর মার্চে পুলিশের একটি কমিটি ২৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে।
পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর জু-বিন ক্ষমাও চেয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, গতবছর একই ধরনের একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অন্তত ১২৪ জন গ্রেপ্তার হয়। তখনই জু-বিনসহ এ ধরনের চক্র পরিচালনাকারী ১৮ জন আটক হয়।