গত রোববার টিপিএলএফ-কে অস্ত্র নামিয়ে রেখে আত্মসমর্পণ করার জন্য বুধবার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন আবি। অন্যথায়,মেকেল্লেতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন।
সে সময় পেরোনোর পর এক টুইটে আবি বলেন,“টিপিএলএফ-কে শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করার জন্য দেওয়া ৭২ ঘন্টা এখন পার হয়ে গেছে এবং আমাদের আইন প্রয়োগের অভিযান চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে।”
তবে তিনি বলেন, এই অভিযানে সামরিক বাহিনী সাধারণ মানুষদেরকে হামলার নিশানা করবে না। নগরীর বাসিন্দাদেরকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান আবি।
তিনি এরই মধ্যে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীকে মেকেল্লে তে টিপিএলএফ এর বিরুদ্ধে ‘তৃতীয় এবং চূড়ান্ত ধাপের’ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মেকেল্লে নগরীতে ৫ লাখ মানুষের বাস। তাদেরকে রক্ষায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকা হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কম রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে; এমনকী কোনও আবাসিক, ধর্মীয় কিংবা ঐতিহাসিক এলাকায় হামলার নিশানা করা হবে না বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওদিকে, তিগ্রাইয়ের টিপিএলএফ বাহিনীর নেতা বলেছেন, তারা তাদের অঞ্চলের প্রশাসন পরিচালনার অধিকারের সুরক্ষায় লড়াই করে মরতেও প্রস্তুত।
টিপিএলএফ এর যোদ্ধারা বেশিরভাগই একটি আধাসামরিক ইউনিট এবং স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য। তাদের সংখ্যা আনুমানিক প্রায় ২৫০,০০০। এই যোদ্ধাদের লড়াই গেরিলা যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা কিছু কিছু বিশ্লেষকের।
ত্রাণ সংগঠনগুলোর আশঙ্কা দুপক্ষের সংঘাত মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে এবং হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। ইথিওপিয়া সেনাবাহিনীর মেকেল্লে অভিযান নিয়ে জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।
টিপিএলএফ ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে অভিযোগ তুলে গত ৪ নভেম্বর থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
তিগ্রাইয়ের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা প্রাণ রক্ষা করতে বাড়িঘর থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।
এই যুদ্ধ শুধু ইথিওপিয়াতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে না বরং ‘আফ্রিকার হর্ন’ এ অবস্থিত প্রতিবেশী দেশেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।