কোভিড-১৯: মার্চের পর সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ দক্ষিণ কোরিয়ায়

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত মার্চের পর একদিনে সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮৩ জন।

>>রয়টার্স
Published : 26 Nov 2020, 11:29 AM
Updated : 26 Nov 2020, 11:29 AM

এক সময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সফল হয়ে সুনাম কুড়ানো এশিয়ার এ দেশটি এখন মহামারীর তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

নতুন কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি আরোপের পরও সেখানে মহামারী পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার রাজধানী সিউল ও এর আশেপাশের এলাকায় নতুন করে কড়া দূরত্ব বিধি আরোপ করেছে।

দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় আরোপিত বিবিধিনিষেধ শিথিলের একমাস পরই সরকার এই কড়াকড়ির পদক্ষেপ নিয়েছে।

কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, সরকার দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করায় সংক্রমণে ফের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।

গত ৬ মার্চের পর বৃহস্পতিবার প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় দৈনিক সংক্রমণ ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সিউলের কোরিয়া ইউনিভার্সিটি গুরো হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কিম উ-জু বলছেন, “অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ আর মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে থাকার কারণে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু পদক্ষেপটি অকালেই নেওয়া হয়ে গেছে।”

দক্ষিণ কোরিয়ায় ধর্মীয় সমাবেশ থেকে প্রথম দফা সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। তবে বর্তমানে সংক্রমণ রাজধানী ঘিরে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্তদের শনাক্ত করা এবং এর বিস্তার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

‘কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এজেন্সি’ (কেডিসিএ)বলছে,নতুন করে যারা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; তার মধ্যে ৫৫৩ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। এর মধ্যে ৭৩%  রাজধানী সিউলের। এর আগে সেখানে সংখ্যাটা এত বেশি ছিল না।

কেডিসিএ’র উর্ধ্‌বতন কর্মকর্তা লি সাং-ওন বলেছেন, কঠোর দূরত্ব বিধি মেনে না চললে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিসেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণ ৪শ’ থেকে ৬শ’র মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিয়ং-হু স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিভিতে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে বলেন, “কোভিড-১৯ আপনার এবং আপনার পরিবারের দরজায় কড়া নাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সংক্রমণের বিস্তার খুবই উদ্বেগজনক।”

দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৩১৮ জনের এবং মারা গেছে ৫১৫ জন।