এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত তো তাদের অনিচ্ছুক মনে হয়নি এবং আমি আশা করি তেমনটা হবেও না।”
মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে বাইডেন তার নতুন প্রশাসনের শীর্ষ পদের জন্য পছন্দের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ভোটের প্রায় তিন সপ্তাহ পর ওইদিনই যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। যদিও এখনও তিনি পরাজয় স্বীকার করতে রাজি হননি।
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হবে। ওই দিনই নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করবেন।
গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। ‘ভোটে কারচুপি’ হয়েছে অভিযোগ তুলে ট্রাম্প বিভিন্ন রাজ্যে ভোট পুনঃগণনার দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
যদিও ট্রাম্প এখন পর্যন্ত তার দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রমাণের অভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা খারিজ বা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন রাজ্য ভোটের ফলাফল ‘সার্টিফাই’ করছে। মঙ্গলবার পেনসিলভেইনিয়া ও নাভাডা কর্তৃপক্ষ বাইডেনের বিজয়কে ‘সার্টিফাইড’ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এনবিসি-র ‘নাইটলি নিউজ’ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, তিনি এখনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে তার বিশ্বাস, ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হলেও সেটির প্রভাব তার মেয়াদের উপর পড়বে না। যথাসময়েই তিনি মেয়াদ শুরু করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘‘এটি শুরু হতে দেরি হয়েছে, কিন্তু এটি শুরু হচ্ছে এবং এখনও হাতে দুই মাস সময় বাকি আছে। এই সময়ের মধ্যে সব কাজ গুছিয়ে নেওয়ার মত গতি অর্জন করার সক্ষমতা আমাদের আছে, তাই আমি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছি।”
শুরুতেই কী কী কাজ করতে চান সে বিষয়েও কথা বলেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, করোনভাইরাসের টিকার বিতরণ এবং প্রথমে কারা ওই টিকা পাবেন সে বিষয়ে কথা বলতে তার সঙ্গে হোয়াইট হাউজের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়ও এখন থেকে বাইডেন ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল ডেইলি ব্রিফিং’ এর আপডেট জানতে পারবেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা এবং কোটি কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল সম্পর্কে তথ্যও জানতে চাইতে পারবেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাইডেন। তবে তাই বলে তার নতুন সরকার ‘ওবামার তৃতীয় মেয়াদ’ হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বলেছেন, ‘‘ওবামা-বাইডেন প্রশাসনকে যে অবস্থা মোকাবেলা করতে হয়েছিল বর্তমান বিশ্ব তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমেরিকা ফিরে এসেছে এবং সমস্যা দেখে পিছু না হটে বরং তা মোকাবেলায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত আছে।”